বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খাতড়ার যে দুই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সম্পর্কে দাদা-ভাই। ১৯মে তাঁরা মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফেরেন। তারপর ওইদিনই খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। এরপর সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যদপ্তর দুই ভাইকে দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্য ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে মোট ২০ জনকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়। ওই দুই যুবকের বাড়ির আশেপাশের সমস্ত রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তাতেও বসেছে পুলিসের চেকপোস্ট।
অন্যদিকে, কয়েক দিন আগে মহারাষ্ট্র থেকেই বাড়িতে ফেরেন কোতুলপুরের ২২ বছরের এক যুবক। ২১ মে ওই যুবকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এছাড়াও ইন্দাসের রোল গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার এক যুবক বর্ধমানের মেমারি থেকে ফেরার পর করোনায় আক্রান্ত হন। কয়েকদিন আগেই তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। একইভাবে ইন্দাস-১ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা অপর এক যুবক কয়েকদিন আগেই দিল্লি থেকে ফেরেন। তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁদের ওন্দা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই তিন যুবকের বাড়ির লোকজন ছাড়া আর কারা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে তিনটি গ্রামে ঢোকার সমস্ত রাস্তা সিল করে দেয় প্রশাসন। ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
বিষ্ণুপুরের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ অরবিন্দ হালদার বলেন, কোতুলপুর ও ইন্দাসে নতুন করে মোট তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।