বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দেবদীপ মেট্যা(২০)। তিনি শিবপুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্র ছিলেন। দেবদীপরা দুই ভাই। দাদা শুভঙ্কর মেট্যা খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র। লকডাউনের আগেই দেবদীপ বাড়ি চলে আসেন। তারপর আর শিবপুরে যেতে পারেননি। গতবছর টোটো থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। কলকাতার একটি হাসপাতালে তাঁর মাথায় অপারেশন হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে নিয়মিত দেবদীপের ওষুধ চলত। জুন মাসের শেষের দিকে তাঁর চেকআপ করানোর কথা ছিল।
দেবদীপের বাবা চঞ্চল মেট্যা বলেন, প্রতিদিনই ও অনেক রাত করে শুতে যেত। তবে, ঘরের দরজা খোলা রেখেই ঘুমত। রাতে আমি উঠলে ও কী করছে মাঝেমধ্যে দেখতাম। শুক্রবার অন্যদিনের মতো খাওয়াদাওয়া করে ও নিজের ঘরে চলে যায়। আমরাও শুয়ে পড়ি। রাত ১২টা নাগাদ আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি বাথরুমে যাওয়ার সময় ওর ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখি, দরজা বন্ধ রয়েছে। তা দেখেই আমার সন্দেহ হয়। ঘরের ভিতরে আলো জ্বলছিল। আমি দরজায় ধাক্কা দিই। অনেক ডাকাডাকি করি। কিন্তু, ভিতর থেকে কোনও সাড়া আসেনি। তখন জানলা দিয়ে দেখি, বিছনায় ও নেই। পরনের প্যান্ট বিছানায় পড়ে রয়েছে। এরপর দরজা ঠেলে ঘরের ভিতরে ঢুকি। ও মেঝেয় পড়েছিল। পাড়ার লোকজনকে ডেকে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেই চিকিৎসকরা ওকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু, কী করে এই ঘটনা ঘটল, বুঝতে পারছি না। কারণ, ও কোনওদিন দরজা দিত না। এদিন দরজা কেন দিয়েছিল, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
দেবদীপের দাদা শুভঙ্কর মেট্যা বলেন, দুর্ঘটনার পর ওর চিকিৎসা চলছিল। গত একমাসে ওর কোনও সমস্যা ছিল না। মোবাইলে কোনও গেম খেলতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে ও অসুস্থ হয়ে পড়েছিল কি না, বুঝতে পারছি না। পুলিস তদন্ত করে দেখুক।