বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ঝড়ের ফলে প্রভাবিত হয়েছেন ৭লক্ষ ১হাজার ৪৯৭জন। হাঁস-মুরগি প্রতিপালনেও প্রভাব ফেলেছে এই ঝড়। গবাদি পশু থেকে কয়েক হাজার হাঁস-মুরগিরও মৃত্যু হয়েছে। সাত হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১১ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমির ভুট্টা চাষে ক্ষতি হয়েছে। ৩৪ হাজার ২৫৮ হেক্টর জমির সব্জি চাষ নষ্ট হয়েছে। ৯হাজার ৯৭৭ হেক্টর জমির কলা চাষ পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। দু’হাজার হেক্টর জমির ফুল চাষে ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৪৩টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৩৩৬ জন আছেন। নদীয়ায় সাতজনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৫০ জনের বেশি মানুষ ঝড়ের সময় নানাভাবে জখম হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, ঘর হারানো মানুষদের ত্রাণ শিবিরে আনা হয়েছে। আমরা এটুকু বলতে পারি, পর্যাপ্ত খাবার ও ত্রিপল আছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে।
এদিকে জানা গিয়েছে, ঝড়ের কারণে একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বহু জায়গায় বৈদ্যুতিক লাইনের উপর গাছ পড়ে রয়েছে। ঝড়ের একদিন পেরিয়ে গেলেও অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চাপড়ার বড় অংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। চাপড়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে জেনারেটর চালু করে প্রথম কয়েক ঘণ্টা সমস্যা মেটানো গিয়েছিল। কিন্তু পরে অবস্থা খারাপ হয়। চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালেও জেনারেটর দিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড কোনওভাবে ঠেকিয়ে রাখা গিয়েছে। নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর-১, হাঁসখালি, চাপড়া, কৃষ্ণগঞ্জ, শান্তিপুর, কল্যাণী, হরিণঘাটা, রানাঘাট-১, রানাঘাট-২ এর মতো বহু ব্লকের বিভিন্ন এলাকা দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে একাধিক জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও কিছু জায়গায় শুক্রবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বেশ কয়েকটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় সমস্যা হয়েছে। বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।