বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
খড়্গপুরের চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার শুভেন্দুকুমার চৌধুরী বলেন, করোনা মোকাবিলায় রেল তাদের হাসপাতাল, হস্টেল, আরপিএফ বারাকে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করেছে। এবার ট্রেনের কোচে মোবাইল আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। সারা দেশে এরকম ৫০০০ কোচ তৈরি হবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীনে ৩২৯টি কোচ তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে আমরা খড়্গপুর ওয়ার্কশপে ১৬০টি কোচ তৈরি করছি। এখানে প্রায় ২০০ কর্মী কাজ করছেন। আছেন বিভাগীয় আধিকারিকরাও। কর্মীরা তাঁদের সময়ের বাইরে স্বেচ্ছাশ্রমও দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই আমরা অর্ধেক কোচ তৈরি করে ফেলেছি। তিনি বলেন, দূরপাল্লার ট্রেনের ১৫-২০ বছরের পুরানো কোচকেই মূলত এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কেটে গেলে আবার কোচগুলিকে যাত্রীবাহী কোচে রূপান্তরিত করে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, এক একটি কোচে আটজন করে করোনা আক্রান্ত রোগী থাকতে পারেবেন। প্রতি রোগীর জন্য থাকছে আলাদা কেবিন। তিনটি শৌচালয় ও একটি বাথরুমের ব্যবস্থাও থাকবে। নার্সদের জন্য আলাদা কেবিন তৈরি করা হছে। তবে এই সব কোচ নন এসি। পুরো কোচটাকে মশা নিরোধক জাল দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। অক্সিজেন সহ আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সমস্ত ব্যবস্থাই সেখানে থাকছে। এই ব্যবস্থার জন্য যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন, তার ব্যবস্থাও থাকবে। ওষুধ মজুত রাখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কোচে থাকা রোগীর মনে হবে, তিনি কোনও নার্সিংহোমের কেবিনে রয়েছেন। অবশ্য সঙ্কটজনক রোগীকে এই আইসোলেশন কোচে রাখা যাবে না। কম সঙ্কটজনক রোগীদের জন্যই এই কোচের ব্যবস্থা।
ওয়ার্কস ম্যানেজার বলেন, রাজ্য সরকার বা রেল কর্তৃপক্ষ যখন যেখানে এই কোচ নিয়ে যেতে বলবে, সেখানেই চলে যাবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকছি।
প্রসঙ্গত, একসময় এই ওয়ার্কশপে প্রায় ২০-২৫ হাজার কর্মী কাজ করতেন। এখন তা ইতিহাস। এখন কর্মীর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা গেল, সেই ওয়ার্কশপ আবার যেন জেগে উঠেছে! আইসোলেশন কোচ তৈরির কাজে সকলেই ব্যস্ত। করোনা মোকাবিলায় এই কর্মীরাও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। লকডাউনের মধ্যেও কর্মীরা কাজে আসছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য, দ্রুততার সঙ্গে এই কোচ তৈরির কাজ শেষ করতে হবে, যাতে খবর এলেই এই কোচ করোনা রোগীর সাহায্যে ছুটে যেতে পারে।