বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, আশা কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিসকে মোটিভেট করার পাশাপাশি রাজ্যের নির্দেশে যা যা করার কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই তেহট্টে গিয়েছিলাম। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সব কাজই হচ্ছে।
অন্যদিকে, হটস্পট ঘোষণা হওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন মহকুমা এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এদিনও অন্যান্যদিনের মতো বাজারগুলিতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বহু মানুষ প্রয়োজন ছাড়াই রাস্তায়, বাজারে ঘুরছেন। হটস্পট ঘোষণার পর মানুষের আতঙ্ক থাকলেও বাজার হাটে তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বাজারে যাতে কেউ ভিড় না করেন সেজন্য তেহট্টে কয়েকজন যুবক বাড়িতে সব্জি, মাছ সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। এরপরেও মানুষজন লকডাউন ভেঙে বাইরে বেরচ্ছেন। পুলিসের পক্ষ থেকেও মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ও ছবি এঁকে মানুষকে সচেতন করে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে। তেহট্টের বাসিন্দা সৌগত দে বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে মানুষকে বলছি, বাইরে বেরবেন না। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও এনিয়ে প্রচার করছি। তাতেও অনেকে কোনও কর্ণপাত করছেন না। প্রশাসন ভালোভাবে কাজ করছে, তবে মানুষের মধ্যে এখনও যেন সচেতনতার অভাব রয়েছে। বার্নিয়া এলাকার বাসিন্দা টুহি ঘোষচৌধুরী বলেন, তেহট্ট হটস্পট ঘোষণা হওয়ায় আমরা খুব আতঙ্কে আছি। আমাদের এই জায়গায় ওই পাঁচজনের করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। এখন যদিও আর কারও মধ্যে তা পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা ভয়ে ভয়ে আছি। কারণ আমাদের বাড়িতে শিশু ও বয়স্করা রয়েছেন। আমাদের এলাকার মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বের হচ্ছেন না। তাতে আমরা কিছুটা হলেও সাহস পাচ্ছি। তবে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে বলেই আমার মনে হয়। খুব দরকার ছাড়া বাইরে না বেরনোই ভালো। কারণ একবার ছড়াতে শুরু করলে আর থামানো সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বার্নিয়া এলাকা স্যানিটাইজেশনের কাজ হয়েছে। তেহট্ট-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গ্রাফিতি বা নানা ছবি আঁকা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গান গেয়ে মানুষকে বিনোদনের মাধ্যমে অনেকটা সচেতন করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তেহট্ট-২ ব্লকের বিডিও শুভ সিংহরায় বলেন, ব্লক প্রশাসনের হয়ে আমরা নানাভাবে চেষ্টা করছি। এদিন জেলাশাসক এসেছিলেন। যাঁরা এতদিন ধরে মাঠে নেমে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন, তাঁদেরকে উৎসাহ দিতেই তিনি এসেছিলেন। পরে তিনি আরও বেশ কিছু জায়গায় গিয়েছেন।
এদিকে নদীয়ায় করোনা সন্দেহে আরও পাঁচজনকে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠাল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। খুব তাড়াতাড়িই তাঁদের লালারসের নমুনা পাঠানো হবে বলেই জানা গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রেব খবর, এর মধ্যে চারজনকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল এবং একজনকে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নতুন করে আর কারও মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েনি বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে লকডাউন উপেক্ষা করে বহু মানুষ এখনও রাস্তায় বেরনোয় পুলিস- প্রশাসনকে আরও কড়া হতে হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।