বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চারটি মহকুমা এবং ২৫টি ব্লকে পাঠিয়েছেন। প্রতিটি মহকুমার জন্য ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। ২৫টি ব্লকের মধ্যে আয়তনে বড় সাতটি ব্লককে ৭৫ হাজার এবং অবশিষ্ট ১৮টি ব্লকে ৫০ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি মহকুমার এসডিওরা এবং ব্লকের ক্ষেত্রে বিডিওরা ওই অর্থ খরচ করবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক, কাঁথি, হলদিয়া এবং পাঁশকুড়া মহকুমার জন্য ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও নন্দীগ্রাম-১, মহিষাদল, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, ময়না এবং নন্দকুমার ব্লককে ৭৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই সাতটি ব্লক আয়তনে বড়। বাকি ব্লকগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভিনরাজ্যের এবং অন্য জেলার অনেক লোকজন আটকে পড়েছেন। কোথাও ক্যাম্প করে, কোথাও ভাড়াবাড়িতে রেখেই খাবার দেওয়া হচ্ছে। যেমন, এগরায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তরপ্রদেশের ২৯ জন আটকে রয়েছেন। একইভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মুর্শিদাবাদের প্রায় ৫০ জন আটকে আছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা বলেন, আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে ওই শ্রমিকদের চাল এবং আলু সরবরাহ করছি।
একইভাবে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে আটক পরিবহণ শ্রমিকদের পাশে হলদিয়া পুরসভা এবং হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থা দাঁড়িয়েছে। পাঁশকুড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুমনা মহাপাত্র এলাকার পথশিশু, ভবঘুরে এবং ভিখারিদের দিনেরবেলায় রান্না করা খাবার এবং রাতে শুকনো খাবার দিচ্ছেন। তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয়স্বজনদেরও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
জেলাশাসক বলেন, লকডাউনে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া শ্রমিক, লরি চালক, খালাসিদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তাঁদের জন্য রাজ্য থেকে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা মহকুমা এবং ব্লকস্তরে ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছি।