বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুড়োশিবতলার বুড়োশিব মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অরূপ সাহা বলেন, লকডাউনের কারণে সরকারি নিয়মানুযায়ী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বুড়োশিব মন্দিরের সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা মন্দির প্রাঙ্গণে নোটিস করে জানিয়েও দিয়েছি। বাসন্তী পুজো বন্ধ। বৌবাজারের বাণেশ্বর শিবের মূল সন্ন্যাসী গৌর চক্রবর্তী জানান, মন্দির প্রাঙ্গণে কোনওরকমে বাসন্তী পুজো করা হবে। চারিচারাবাজারের বালকেশ্বর শিব পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানান, অনাড়ম্বরভাবে বাসন্তীপুজো হচ্ছে। বাকিসব অনুষ্ঠানই বন্ধ। লকডাউনের কারণে সমস্ত রকম সরকারি বিধিনিষেধ মানতে আমরা বদ্ধপরিকর।
অন্যদিকে, শান্তিপুরের বুড়ো শিবতলার চারশো বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাসন্তী পুজোতে এবছর করোনার কোপে মাস্ক পরে পুরোহিত নিয়ম রীতি মেনে সারলেন পুজো। বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমীতে রানাঘাট মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হওয়ার কথা বাসন্তী পুজো। কোথাও আবার এই পুজো উপলক্ষে মেলাও বসে। এইসময় অনেক বাড়িতে আবার অন্নপূর্ণা পুজোর আয়োজন করা হয়। বাড়ির পুজোগুলো ঘরোয়াভাবে হলেও বেশিরভাগ বারোয়ারি পুজো এই বছর নমো নমো করে সারা হয়েছে। রানাঘাটের আঁইশতলা সন্ন্যাসীবাজার এলাকা এবং শান্তিপুর থানার মোড় এলাকার পুজো করা হলেও মেলা এবছর স্থগিত রাখা হয়েছে। শান্তিপুরের বুড়ো শিবতলা এলাকার বাসন্তী পুজো কাটছাঁট করেছেন উদ্যোক্তারা। প্রশাসনিক ছাড়পত্র পেয়ে কোনরকমে আয়োজন হয়েছে পুজোর। সেখানে পুরোহিতীকে দেখা গেল মাস্ক পরে পুজো করতে। পুজোর জোগাড়ের জন্য দু’জন মহিলা, একজন পুরোহিত এবং একজন পুজো কমিটির লোক মিলিয়ে চারজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল এবারের বাসন্তী পুজো। রানাঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি তাপসকুমার ঘোষ বলেন, লকডাউনের মধ্যে নিয়ম-রীতি মেনে পুজোগুলি হয়েছে। পুজোগুলিতে জমায়েত হয়নি। মেলা বন্ধ রয়েছে।