বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কটারি গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এবং এলাকার একটি ক্লাবের সহযোগিতায় গত রবিবার থেকে কালী ও শীতলার পুজো শুরু হয়। সেই উপলক্ষে সোমবার রাতে ডিজে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে মদ্যপ অবস্থায় চলে উদ্দাম নৃত্য। সর্বত্র করোনা আতঙ্ক, লকডাউন চলছে, জমায়েত নিষিদ্ধ। সেখানে কালীপুজোর আয়োজন আর অসংখ্য মানুষের জমায়েতে উদ্দাম নাচ চলতে থাকে। এমনকী সেই অনুষ্ঠানে বাইরের রাজ্য থেকে ফিরে আসা শতাধিক যুবকও শামিল হয়। এতে প্রশাসনিক নির্দেশিকা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। জোরালো আলো, এক ডজন সাউন্ডবক্স আর তার সামনে উদ্দাম নাচ চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে সেই ছবি সর্বত্র ভাইরাল হয়ে যায়। স্থানীয় শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজন প্রতিবাদে সরব হন। কিন্তু তাঁদের কথার কর্ণপাত করেননি কেউই। আরও অভিযোগ, রাতে পুলিস-প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শেষমেশ মঙ্গলবার পুলিস-প্রশাসনকে সক্রিয় হতে দেখা যায়। সকাল থেকেই পুলিস মাঠে নামে। ছিলেন খেজুরি-১এর বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষ, খেজুরি-২ বিডিও রমল সিং বির্দি এবং খেজুরি ও তালপাটিঘাট কোস্টাল থানার পুলিস আধিকারিকরা। কটারি গ্রামে অনুষ্ঠান তো বন্ধ করে দেওয়া হয়ই, আয়োজকদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। অন্যদিকে, মাইক ও সাউন্ডবক্স বাজানো এবং জমায়েতের পরিবেশ তৈরি করার জন্য কটকা-দেবীচক গ্রামেও অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে আয়োজকদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।