বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিস এদিন অভিযান চালিয়েছে। কার্জন গেট চত্বরে কয়েকজনকে লাঠিপেটা করেছে পুলিস। মার খেয়ে সেইসব লোকজনদের একেবারে দে দৌড় অবস্থা। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা বেরিয়েছিলেন, তাঁরা অবশ্য দাওয়াই থেকে রেহাই পেয়েছেন। তবে, শুধু মার নয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে লকডাউন সফল করার জন্য মাইকিং করেও এদিন প্রচার চালানো হয়েছে। বেশকিছু ঠেকে এদিন জমিয়ে গল্প শুরু করেছিলেন কিছু যুবক। পুলিস দেখেই তাঁরা পালিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হন। বর্ধমান শহরে প্রায় ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। গোটা জেলায় প্রায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
একইভাবে লকডাউনের তোয়াক্কা না করে মঙ্গলবার সকাল থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বহু মানুষ বাজারে ভিড় জমাতে থাকেন। পাশাপাশি অযথা অনেকেই বাইরে বের হন। মানুষের ভিড় সামাল দিতে পুলিসকে হিমশিমও খেতে হয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে এবং ক্রেতাদের সচেতন করতে বিভিন্ন বাজারে মাইকিংও করা হয়। বাজারে বাজারে মানুষকে সচেতন করতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাও পথে নামেন এদিন। এছাড়াও অযথা জমায়েত রুখতে জেলাজুড়ে পুলিস-প্রশাসনও নজরদারি চলায়।
আসানসোলে সব্জি বাজার ও খাদ্য সামগ্রীর দোকানগুলিতে হাল্কা ভিড় হয় সকালে। বেলা বাড়তেই ক্রেতা কমে যায়। দুর্গাপুরে প্রায় প্রতিটি বাজারে সকাল থেকে ব্যাপক ভিড় হতে থাকে ক্রেতাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুর্গাপুর বেনাচিতি বাজারে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে ভিড় ফাঁকা করে। কালোবাজারি ও জমায়েত রুখতে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে ট্রাফিক পুলিসের আধিকারিক ও দুর্গাপুর চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে বৈঠক করেন। চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক ভোলা ভগত বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লকডাউন চলাকালীন বাজারহাট সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়াও পাইকারি দোকান সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। একজন ব্যাক্তির জন্য ২৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আটা এবং ১ কেজি তেল নির্ধারিত করা হয়েছে।
দুর্গাপুর মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, লকডাউন সম্পর্কে অনেক মানুষ অবগত নয়। তাঁরা অযথা বাজারে ভিড় করছেন। আমরা কালোবাজারি ও জমায়েত বন্ধ করতে মাইকিং করা সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশীদ আলি কাদরী বলেন, যেখানে ভিড়ের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে সেখানে গিয়ে পুলিস পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। পাশাপাশি এসডিও ও বিডিও সকলেই নজরদারি চালাচ্ছেন। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিস কমিশনার সুকেশ জৈন বলেন, বাজার এলাকায় মানুষকে বোঝানো হয়েছে। লকডাউন উপেক্ষা করছে এমন কিছু নেই। কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি।