শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
সাদিচক প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঘাটাল চক্রের অধীন। ওই চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌমেন দে বলেন, স্কুলে দেরিতে আসার অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন বেশ কিছুক্ষণ ঢুকতে দেননি বলে শুনেছি। আমাকে স্থানীয় বাসিন্দারাও এনিয়ে ফোন করেছিলেন। আমি ওই এলাকার শিক্ষাবন্ধুদের এবিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট নিতে বলেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক থেকে কিছুটা দূরেই ওই স্কুল। স্কুলে বর্তমান পড়ুয়ার সংখ্যা ১৪০এর কাছাকাছি। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন চারজন। স্থানীয় বাসিন্দা অমলাশঙ্কর দোলই, রাজকুমার দোলই এবং তপন দোলই বলেন, স্কুলের গেটের সামনে পড়ুয়ারা রোজ বেলা ১০টা নাগাদ চলে আসে। কিন্তু, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না। যিনি যখন পারেন, তখন আসেন। শিক্ষক শিক্ষিকারা দেরি করে স্কুল আসার ফলে পড়ুয়াদের সমস্যা হয়। তাদের দেখার কেউ থাকে না। বিষয়টি বারবার প্রধান শিক্ষিকাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। তাই এদিন ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এদিন স্কুল খোলার অনেক আগে থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা ও অভিভাবকরা স্কুল চত্বরে জমায়েত হতে শুরু করেন। ১১টার পর শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের মধ্যে ঢুকতে গেলে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে যদি পড়ুয়ারা নিমানুবর্তিতা না শেখার সুযোগ পায়, তাহলে কোথা থেকে তারা শিখবে?
অমলাশঙ্করবাবু বলেন, ১১টা বাজার দু’চার মিনিট আগে প্রধান শিক্ষিকা এসেছিলেন বলে তাঁকেই শুধুমাত্র এদিন অফিসে যেতে দেওয়া হয়েছিল। বাকিদের প্রায় ১টা পর্যন্ত বাইরে আটকে রাখা হয়। প্রশাসন আমাদের অনুরোধ করার পর তাঁদের ছেড়ে দিই।
আটকে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবশ্য বলেন, তাঁরা প্রতিদিনই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু, এদিন রাস্তায় একটু সমস্যা হওয়ার কারণে কিছুটা দেরি হয়ে যায়।
গ্রাম শিক্ষা কমিটি তথা ওই স্কুলের সভাপতি অশোক ঘাঁটি বলেন, শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে আসা উচিত। তবে, এভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে রাখাটা ভালো লাগেনি। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেরিতে আসার সমাধান অন্যভাবেও করা যেত।