বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
একদা সুবে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ শহরাঞ্চলকে নিয়ে ১৮৬৯সালে পুরসভা গঠিত হয়। বর্তমানে পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫০হাজার। পুরসভায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, পানীয় জলের জন্য রাস্তায় সরকারি ট্যাপকলের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। একবেলা জল না এলে বাসিন্দাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে জল কিনে খাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। তবে আর্থিক সঙ্গতি না থাকা পরিবারকে রাস্তার টিউবওয়েলের জল দিয়েই কাজ চালাতে হয়। উল্লেখ্য, পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডেই জলসঙ্কট রয়েছে। পুর এলাকার দীর্ঘদিনের এই সমস্যা মেটাতে ২০১৭সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার ৫০কোটি ২৫লক্ষ টাকার আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে গঙ্গা নদী থেকে জল তুলে তা পরিস্রুত করে জলাধারে রেখে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে ২নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশানঘাট এলাকায়, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুটো মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে কুর্মিতলা এলাকায় মোট তিনটি জলাধার নির্মাণের কাজ এবং গঙ্গা থেকে জল তুলে পরিস্রুত করার জন্য ২ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ আগেই শেষ হয়েছিল। কিন্তু পাইপ লাইনের টেন্ডার না হওয়ায় বেশ কিছুদিন প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল। পুজোর পরই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর পাইপও চলে আসে। সম্প্রতি পুরসভা এলাকাজুড়ে রাস্তার ধারে মেন লাইনের পাইপ বসানোর কাজ চলছে। পুরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের সাহানগরের বাসিন্দা অচিন্ত্য রায় বলেন, এখানে পানীয় জলের সমস্যা সেভাবে না থাকলেও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পানীয় জলের চরম সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে মার্চের শুরু থেকে জুলাইয়ের সপ্তাহ দুয়েক পর্যন্ত জলের তীব্র সমস্যা থাকে। রতনপুরের বাসিন্দা বিপাশা দত্ত বলেন, গ্রীষ্মের সময়ে ট্যাপকলে জলের জন্য লম্বা লাইন পড়ে। সরু সুতোর মতো জল পড়ায় সবাই জল পায় না। পুরসভা পানীয় জলের সংযোগ দিলে পানীয় জলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। মুর্শিদাবাদ টাউন কংগ্রেস সভাপতি অর্ণব রায় বলেন, কিছুদিন আগে শহরে ম্যাস্টিক রাস্তা তৈরি হয়েছিল। এক বছরের মধ্যে সেই তা কেটে পাইপ বসানো হচ্ছে। এটা ভোটের রাজনীতি।