বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তিনি বলেন, ছোট থেকে ভীষণ কষ্ট করে বড় হয়েছি। শান্তিপুর কলেজ গ্রাজুয়েশন পাস করেছি। পড়াশোনা এবং নাটক আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও একটা চাকরি জোগাড় করতে পারিনি। তাই ভালো করে পড়াশোনা করার গুরুত্ব আমি বুঝি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, আর কিছু করতে না পারি পরীক্ষার্থীদের জন্য সামান্য এই কাজটুকু আমি করে যাব।
শান্তিপুর শরৎকুমারী স্কুলের ছাত্রী ডোনা দেবনাথ, পায়েল সরকারদের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে শহরের দুর্গামণি শ্রীপাঠশালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। তারা অরুণবাবুর টোটোতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে জানায়, টোটো ধরার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম। কানাইকাকু আমাদেরকে তাড়াতাড়ি সঠিক সময় স্কুলে পৌঁছে দিয়েছেন। এতে আমরা সিলেবাসটা শেষবারের মতো চোখ বুলিয়ে নেওয়ার সময় পেলাম। আমাদের ভিশন সুবিধা হল।
শান্তিপুরের দেবেন্দ্রনাথ রায় রোডের বাসিন্দা অরুণকুমার তলাপত্র দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে টোটো চালাচ্ছেন। প্রত্যেক বছরই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় তিনি এই কাজ করেন। টোটো চালানোর পাশাপাশি সকালে তিনি ঘণ্টা দু’য়েক দিনমজুরের কাজ করেন। এরপর বাড়ি ফিরে টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এখন পরীক্ষা দিতে যাওয়া মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দেখলেই নিজের টোটোতে চাপিয়ে নিচ্ছেন তিনি। বেশি টাকার ভাড়া পেলেও এখন তিনি না করে দিচ্ছেন। টোটো চালানোর সময় পরীক্ষার্থীদের মনোবল বাড়ানোর নানা টোটকাও দিতে থাকেন অরুণবাবু। অরুণবাবু বলেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলার সময় আমি কোনও রিজার্ভ ভাড়া রাখছি না। স্কুলের ড্রেস পরা পরীক্ষার্থী দেখতে পেলেই তাদের কাছে গিয়ে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে টোটোতে তুলে নিচ্ছি। পরীক্ষার কটা দিন আমি পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। অরুণকুমার তলাপাত্রের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।