বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কালনা-কাটোয়া রোডের পারুলিয়া বাজারে প্রায় ২০০০ ছোট-বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য এদিন পারুলিয়া বাজারকে বেছে নেন স্থানীয় পুলিস-প্রশাসনের কর্তারা। দুপুর নাগাদ বাজারের মধ্যস্থলে একটি পথসভা করেন তাঁরা। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধে ব্যবসায়ীদের কাছে লিফলেট বিলি করা হয়। এরপর একের পর এক দোকানে হানা দেন পুলিস-প্রশাসনের কর্তারা। বেকারি ব্যবসায়ী ভুপেশ দেবনাথ ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী হরি দেবনাথের দোকানে গিয়ে বিডিও তাঁদের সতর্ক করেন। তিনি বলেন, নিম্নমানের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করুন। সরকারিভাবে ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার ও বিক্রি করা নিষিদ্ধ। এগুলি ব্যবহারে ক্যান্সার রোগ পর্যন্ত হতে পারে। প্লাস্টিক থেকে ভয়াবহ দূষণ ছড়াচ্ছে। পশুরা ক্যারিব্যাগ খেয়ে মারা যাচ্ছে। সতর্ক না হলে, আইন ভঙ্গকারীকে জরিমানা করা হবে।
পারুলিয়ার জনবহুল এলাকায় পুলিস-প্রশাসনের প্লাস্টিক বিরোধী প্রচার দেখতে এদিন সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়। ফল বিক্রেতা শান্তনু সাহাকে আইসি বলেন, দোকানে নিম্নমানের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করবেন না। ৬০দিনের সময়সীমা দেওয়া থাকল। তারপর আমরা এই এলাকায় এসে অভিযান চালাব। নিম্নমানের প্লাস্টিক পেলেই ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হবে। যতবড় ব্যবসায়ী হোক, কেউ বাদ যাবেন না। ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ কেউ আর দোকানে রাখবেন না। দশকর্ম ও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবসায়ী মিক্সন রায়কে তিনি বলেন, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ আর বিক্রি করবেন না। ৬০দিন পর যদি কোনও দোকানে দেখি ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ক্যরিব্যাগ বিক্রি হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে।
ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার পাশাপাশি এদিন ক্যারিব্যাগ, কাগজের কাপের নমুনা দেখানো হয়। আগামী দিনে এধরনের কাগজের কাপ ব্যবহার করতে বলেন তাঁরা। প্লাস্টিকে কাপে গরম চা খাওয়া মারাত্মক বিপদ। কালীশঙ্করবাবু বলেন, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে বাজারের ড্রেনগুলি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। হাজার বছর পড়ে থাকলেও প্লাস্টিক নষ্ট হবে না। এবিষয়ে এবার সমস্ত ব্যবসায়ীকে সচেতন হতে হবে।