বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিস সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাচক থানার ঝিকুরখালি নদীর চর থেকে দু’টি অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দেহ দু’টি পুরুষ না মহিলার তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সমস্যা হলে ফরেনসিক তদন্তে পাঠানো হতে পারে। কীভাবে দেহ দু’টি ওই জায়গায় এল কিংবা খুনের ঘটনা কি না বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। নদীর নির্জন চর এলাকায় নজরদারি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আধপোড়া দেহ দু’টির মধ্যে একটি পুরুষ এবং অন্যটি মহিলার হতে পারে। চুল ও পোড়া দেহের গঠন দেখে একটি মৃতদেহ মহিলার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডে ঝিকুরখালি এলাকায় এদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণের সময় স্থানীয়রা নদীর চরে আধপোড়া দেহ দু’টি দেখতে পান। উঁচু রাস্তার ঠিক নীচে পড়েছিল দেহ দু’টি। কোনও দেহই চেনা যাচ্ছিল না। প্রতিটি দেহের মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি দেহ বেশি পুড়েছে এবং অন্য একটি দেহের মাথায় বাদামি রঙের চুল দেখা যাচ্ছিল। দু’টি দেহেরই পায়ের পাতার অংশ দেখে নারী অথবা পুরুষ কি না তা জানার চেষ্টা করে পুলিস।
এদিন সকালে স্থানীয়রা দেহ দু’টি দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দেন। তখনও দেহ দু’টি থেকে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, পেট্রল বা দাহ্য কোনও তরল দিয়ে দেহ দু’টি পোড়ানো হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, বাইরে কোথাও খুন করে এখানে এনে পোড়ানো হয়েছে। কারও কারও দাবি, বাইরে থেকে নৌকোয় মৃতদেহ এনে নদীর চরে মৃতদেহ দু’টি পোড়ানো হচ্ছিল। দক্ষিণ ২৪পরগনার কোথাও খুন করে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে সন্দেহ। স্থানীয়রা পুলিসকে এই সন্দেহের কথা জানিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীতে মেরিন পুলিসের নজরদারির অভাবে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত এক মাসের মধ্যে মহিষাদলের গেঁওখালি সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদীর চরে একইভাবে এক ইঞ্জিনিয়ারকে অন্যত্র খুন করে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, হলদি নদীর বালুঘাটা ঝাউ চরে একটি নির্জন খালের জল থেকে এক মোবাইল ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। সেখানেও অন্যত্র খুনের ঘটনা ঘটে।
হলদিয়া পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ভক্তিপ্রসাদ বলিদা বলেন, রাতের অন্ধকারে খুনের পর দেহ লোপাটের জন্য নদীর চরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। পুলিস ও প্রশাসনকে এলাকায় মেরিন পুলিসের নজরদারি ও সিসিটিভি ক্যামেরার দাবি জানাচ্ছি।