বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই সৎসঙ্গের অনুরাগী। আমি ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের নীতিতে অগাধ বিশ্বাস করি এবং তাঁর নীতি মেনে চলি। আমার বাড়িতেও অনুকূলচন্দ্র আছেন। আমি আজ থেকে এই আশ্রমের একজন হয়ে গেলাম। তিনি বলেন, ঠাকুরের অনন্ত মানবপ্রেম আর মাহাত্ম্যের কথা বলতে শুরু করলে শেষ হবে না। আমি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। মানবসেবা আর মানবপ্রেমই পরম ধর্ম, এটাই আমি বিশ্বাস করি। মানুষের থেকে আর বড় কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, ধর্ম নয়, সবার উপরে মানুষই সত্য। একথা মাথায় রেখেই সকলকে এগতে হবে। সমস্ত রকমের ভেদাভেদ সরিয়ে রেখে সকলে মিলে উৎসবে মেতে উঠবেন, এটাই কামনা করি।
প্রসঙ্গত, আশ্রমে কোনও গেস্ট হাউস না থাকায় এখানে আসা মানুষজন রাতের বেলায় খুবই সমস্যায় পড়েন। এছাড়া আশ্রমে যাওয়ার রাস্তাও দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। পানীয় জলের জোগানও পর্যাপ্ত নয়। সেখানে একটি সাব মার্সিবল পাম্পের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। এদিন শুভেন্দুবাবুর কাছে এই সমস্ত সমস্যার নিরসন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আশ্রমের তরফ থেকে আর্জি জানানো হয়। তিনি প্রতিটি বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং বলেন, আমি সবসময় আশ্রমের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পাশে থাকব। আপনারা সকলে পাশে থাকুন, তাহলে দেখবেন আগামী দিনে আশ্রমের চেহারা পাল্টে যাবে।
প্রতি বছরের মতো এবারও পয়লা ফাল্গুন খেজুরির সৎসঙ্গ আশ্রমে বসন্তোৎসবের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। আশ্রমের অধ্যক্ষ দীপঙ্কর মণ্ডল এবং সভাপতি মেঘনাদ মণ্ডল বলেন, এর আগে সকালে কীর্তন সহ এলাকা পরিক্রমা, বিশ্বশান্তি ও কল্যাণ প্রার্থনায় যুব সম্মেলন, মাতৃ সম্মেলন, প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মসভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এছাড়াও দিনভর অন্যান্য নানা অনুষ্ঠান চলতে থাকে। দুপুরে কয়েক হাজার মানুষকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। জেলা ও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ আসেন এবং অনুষ্ঠান ঘিরে মেতে ওঠেন।