বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এবিষয়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শান্তিরঞ্জন পাল বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই বল্লভপাড়ায় ভাসমান জেটি তৈরি করব। পাশাপাশি ৭০ ফুটের একটি ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করব। যাতে যাত্রীরা নৌকা বা ভেসেল থেকে নেমেই নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন।
কাটোয়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাট তৈরি করে। ভাগীরথীর নদীর কাটোয়া শহরে ফেরিঘাটে জেটি করে নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু করে। সেই সময় থেকে কাটোয়া পুরসভা ইজারাদার দিয়ে কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাট পরিচালনা করে আসছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ জলপথে দৈনিক গড়ে ৩৫-৪০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। নদীয়া জেলার একটা বড় অংশের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার যোগাযোগকারী অন্যতম পথ হল কাটোয়া-বল্লভপাড়া ফেরিঘাট। ফেরিঘাটের কাটোয়ার দিকে জেটি থাকলেও নদীয়ার বল্লভপাড়ার দিকে কোনও জেটি নেই। একটি নৌকাকে নদীর পাড়ের সঙ্গে বেঁধে রেখে অস্থায়ী জেটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাম আমলে জেটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বল্লভপাড়ার দিকে জেটি তৈরি করা হয়নি। এতে যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে জেনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে স্থায়ী জেটির জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাদের আবেদন সাড়া দিয়েই রাজ্য পরিবহণ দপ্তর থেকে এদিন জেটি তৈরির জন্য পরিদর্শনে আসেন ইঞ্জিনিয়াররা।
নদীয়ার বল্লভপাড়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সিংহ, বিনয় দেবনাথ বলেন, বল্লভপাড়ার দিকে জেটি না থাকায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অন্যদিকে ভেসেলের চালক লালন শেখ বলেন, জেটি না থাকায় নৌকার পাশে ভেসেল নোঙর করতে অসুবিধা হয়। ঝুঁকি নিয়ে ভেসেল চালাতে হচ্ছে।