বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গোপন সূত্র মারফত আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিস খবর পায়, সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে বুধবার রাতে আসানসোল স্টেশনে আসবে পাচারকারীরা। সেইমতো পুলিস ও জিআরপির টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আসানসোল স্টেশন থেকে আটক করে। তাদের মধ্যে বিবেক মণ্ডল, মুকেশ মণ্ডলের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায়। অপরজন কাজল গড়াইয়ের বাড়ি অণ্ডালে। তাদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৪ হাজার ৬০০ টাকা, বেশ কয়েক জোড়া বালা, আংটি, সোনার কয়েন উদ্ধার হয়। পুলিস তাদের জেরা করে দুর্গাপুরের বেনাচিতির শালবাগানের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ধনজি বি প্যাটেলের নাম পায়। অভিযোগ, এই চক্রের কাছে সোনা নিয়ে তা গলিয়ে দিত ওই ব্যবসায়ী। অভিযুক্তদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানে নামে পুলিস। পরে শোরুমে হানা দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি প্রচুর সোনা, ৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে।
এদিকে এদিন এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস, এসিপি সৌমদীপ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে পুলিস নতুন তত্ত্বের কথা জানায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইবার অপরাধের একটি দিশাও রয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে। পুলিস প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা অনেক ক্ষেত্রেই অনলাইনে টাকা জালিয়াতি করে, সেই টাকার মাধ্যমে গিফট ভাউচার কিনে বড় স্বর্ণ বিপণীগুলির কাছ থেকে সোনা সংগ্রহ করত।
সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জায়গায় যে সোনার দোকানে চুরি ডাকাতি হয়েছে, তার সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে এই ঘটনার সঙ্গে ফের ঝাড়খণ্ডের অপরাধীদের যোগসূত্র সামনে এসেছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্যে এই চক্র কতটা সক্রিয় তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।