বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এ বিষয়ে মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খুনের রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না। পুলিসকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে বলা হয়েছে। যে দল বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কারও এমন দুর্বৃত্তায়ন পছন্দ করি না। পুলিস তদন্ত করে দেখুক। আমরাও দলীয়ভাবে ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিস সূত্রে খবর, এদিন সকালে কয়েকজন পরিচিতের সঙ্গে ব্রহ্মতালায় বসেছিলেন শান্তনু। সেই সময় জনাকয়েক দুষ্কৃতীর একটি দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে তাড়া করে। প্রাণে বাঁচতে পালাতে গিয়ে গলির মুখে পড়ে তিনি যান। তখন দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে চম্পট দেয়। সেখানেই পড়ে কাতরাতে থাকেন শান্তনুবাবু। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আজ বুধবার মৃতদেহ ময়না তদন্ত হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
মৃত শান্তনুর স্ত্রী ঝুম্পা মাহাত বলেন, বিধায়ক ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন। তাঁর পরিচিতরা এই কাজ করেছে। আমার স্বামী শান্তিপুরের চেয়ারম্যান অজয় দের সমর্থক। এই জন্য বিধায়কের রাগ। আমার স্বামী চাষবাস করতেন। ওকে গাঁজার মিথ্যা কেস দিয়ে জেল খাটিয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। শান্তনুর বউদি রমা মাহাতো বলেন, ও যখন ওই এলাকায় বসেছিল সেই সময় বিধায়ক এলাকার সিসি ক্যামেরাগুলি বন্ধ করে দুষ্কৃতীদের ঢুকিয়ে দেন। এদিন শক্তিনগর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মৃতের শ্বশুর প্রফুল্ল মাহাত বলেন, ও তৃণমূল করে। শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অজয় দের দল করত। শান্তিপুরে তৃণমূলের একটা গোষ্ঠীবাজি চলছে। সে কারণেই ওকে খুন হতে হল।
শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে বলেন, আমার অনুগামী বলে কিছু নয়। তবে ও তৃণমূল করত। খুনের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। প্রকাশ্য দিবালোকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে শান্তিপুরবাসী আতঙ্কিত। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করুক এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দিক। এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয় কিনা আমি বলতে পারব না। কারণ আমি কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকি না। অন্যদিকে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, যে মারা গিয়েছে সে একজন ক্রিমিনাল। ঘটনার সময় সুস্থ ছিল কিনা, কোনও লেনদেনের সমস্যা ছিল কিনা জানা নেই। আগে সে জেলে গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিধায়ক দাঁড়িয়ে থেকে কেন এইসব করতে যাবে? আমি কখনই খুন সমর্থন করি না। শান্তিপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। ও যখন দুষ্কৃতীমূলক কাজ করত তখন পরিবার বাধা দেয়নি। এখন খুন হওয়ার পর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের নামে একজন জনপ্রতিনিধির বদনাম করছে। পুলিস তদন্ত করছে।