বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কাষ্ঠশালি নিভাননী হাইস্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ে সুদেব। বাবা সহদেব দাস রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। অভাবের সংসারে সহযোগিতার জন্য বাবার সঙ্গে মাঝে মধ্যে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজেও যায় সুদেব। হাতে মুজুরির টাকা পেয়ে লটারির টিকিট কেনার নেশা চাপে তার। প্রায় মাস দুয়েক ধরে সে লটারির টিকিট কাটতে শুরু করে। সুদেবের বাবা সহদেববাবু বলেন, একমাত্র ছেলে লুকিয়ে লটারির টিকিট কাটত। যদিও ওর মা লটারি কাটতে নিষেধ করত। ওইদিন বিকেলে গঙ্গাধারপাড়ার মোহন শেখের কাছে ছ’টাকা দামের পাঁচটি লটারির টিকিট কাটে। সাড়ে ৬টা নাগাদ টিকিট নিয়ে বাড়ি চলে আসে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওই টিকিট বিক্রেতা ফোন করে প্রাইজ পাওয়ার কথা জানায়। কথার সত্যতা যাচাই করতে, ছেলে ওই টিকিটের নম্বর নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটে ঘেঁটে মিলিয়ে দেখে। রাতে নিরাপত্তার অভাবে আমরা টিকিটটি সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে থানায় চলে আসি।
এদিকে এলাকায় লটারি পাওয়ার খবর লোকমুখে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে স্টেশন বাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী দেবাশিস দত্ত বলেন, ১২ বছর ধরে আমি লটারির টিকিট কাটছি। এতদিনে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে আমার। কখনও এক লক্ষ টাকারও পুরস্কার পাইনি। লটারি কাটার নেশা খুবই বাজে। নিয়মিত টিকিট কাটা কোনওভাবেই উচিত নয়। পলাশপুলির এক সরকারি কর্মচারী পরিমল রাজবংশী বলেন, বন্ধু বান্ধবদের পাল্লায় পড়ে বার চারেক লটারির টিকিট কেটেছিলাম। তবে একবারও টাকা পায়নি। কৈবত্য পাড়ার এক টোটো চালক নিমাই দাস বলেন, এক সময় লটারির টিকিট কেটে প্রচুর টাকা নষ্ট করেছি। লটারি পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। কাষ্ঠশালির ওই ছাত্রের ভাগ্য ভালো ছিল। তাই ও কোটি টাকার পুরস্কার পেয়েছে। তবে, টিকিট কাটার অভ্যাস খুব খারাপ।
এদিকে এতটাকা পেয়ে কী করবে, সেই প্রসঙ্গে সুদেব বলে, অর্ধেক টাকা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখব। বাবার অনেক ধার দেনা রয়েছে। আগে তা মেটাব। মনের মতো একটা বাড়ি করার ইচ্ছা আছে। চাষের জন্য কয়েক বিঘা জমি কিনব। বাকি টাকায় ব্যবসা করব।