বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তৃণমূলপন্থী সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাপতি তথা নদীয়া জেলার সভাপতি প্রমথরঞ্জন বসু বলেন, আমরা এই আইনের বিরোধিতা করছি। এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবধি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যাবে না। আমরা আইনের কপি হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এছাড়া সিএএ নিয়ে বাকিদেরও বোঝানোর চেষ্টা করব। যাঁরা যখনই এসে থাকুন, নিশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে।
বিজেপিপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের ছাত্র যুব সভাপতি তন্ময় বিশ্বাস বলেন, মোদি সরকার যে বিল নিয়ে এসেছে তা ঐতিহাসিক। উদ্বাস্তু মানুষরা হৃদয়ের মাঝে এই সরকারকে রাখবে। মতুয়া মহাসঙ্ঘর মানুষজন খুবই খুশি। অনেকের ফোন আমি নিজে পেয়েছি। তবে কিছুজন আছেন, যাঁরা এর আগে ঠাকুরবাড়িতে বিভাজন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, এখন আমার মনে হয় না যে, মতুয়া সমাজ সিএএ নিয়ে অখুশি। অনেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য মতুয়াদের বিভ্রান্ত করে ভুল বোঝাচ্ছে। এতে আদতে কিছুই লাভ হবে না।
মতুয়াদের নিয়ে কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ‘তৃণমূলের’ দু’দিনের ধর্না কর্মসূচি শেষ হয় গত বুধবার। ওই কর্মসূচি থেকে এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী অ্যাক্ট বাতিলের দাবি তোলা হয়। সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের ব্যানারে কর্মসূচি আয়োজিত হলেও তৃণমূলই বকলমে সবকিছু আয়োজন করে। সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেকের অনপুস্থিত থাকা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। মতুয়াদের একটা অংশ বলছেন, কেন্দ্রের কাছে তাঁদের দাবি ছিল, সমস্ত শরণার্থীদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু মুসলিমদের বাদ দেওয়ায়, বাংলাদেশের হিন্দুরাও কতদিন সুরক্ষিত থাকবেন তা নিয়ে চিন্তিত অনেকে। ওই অংশের দাবি, আমরা চাই কোনও নথিপত্র ছাড়া নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। আমরা ২০০৩ সালে আন্দোলন করেছিলাম। তখন দাবি ছিল, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দিতে হবে। শুনেছি, এই বিলে তেমন কিছু নেই। তাছাড়া কারা ২০১৪ সালের আগে এসেছেন সেটা কীভাবে বোঝা যাবে তা স্পষ্ট হচ্ছে না। এছাড়া তারপর যাঁরা এসেছেন, তাঁদের কী হবে সেটাও পরিষ্কার নয়। মহাসঙ্ঘের আরএক পক্ষের এক সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নাগরিকত্বের দাবি জানিয়ে আসছি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের দাবি মেনে নিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এর বিরোধিতার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এদিকে সামনেই পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। তারপরেই বিধানসভা ভোট। তাই সিএএ ইস্যু কতটা প্রভাব ফেলবে অর্থাৎ মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক কোন দিকে ঝুঁকবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।