বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রামপুরহাট-মাড়গ্রাম রোডে বেপরোয়া ওভারলোড বালি ও পাথর বোঝাই যানবাহন চলাচলের জেরে ৮ নম্বর ওয়ার্ডবাসী দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মাস দু’য়েক আগে এই রোডের চামড়াগুদাম পাড়ায় ইটবোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি রাস্তার ধারের একটি গুমটিতে ঢুকে পড়ে। মৃত্যু হয় চার মাসের এক শিশুর। ক্ষুব্ধ মানুষজন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন। পুলিসকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের চাপে পুলিস এই রাস্তায় ওভারলোড যান চলাচল বন্ধ রাখে। ওয়ার্ডবাসীর অভিযোগ, দিন তিনেক ধরে গভীর রাতে ফের ওভারলোড যান চলাচল শুরু হয়েছে। তাঁরা বলেন, চামড়াগুদাম মোড়ে পুলিস টাকা নিয়ে সেইসব বালি ও পাথরবোঝাই যান পার করে দিচ্ছে। গত ২৩ নভেম্বর গভীর রাতে চামড়াগুদাম মোড়ে এমনই একটি পাথরবোঝাই ওভারলোড লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় দু’টি গুমটির উপর। সম্পূর্ণ ভেঙে যায় গুমটিগুলি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের খুঁটি। যার জেরে ওইদিন রাত থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এলাকা। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রিয়নাথ সাউ বলেন, শিশু মৃত্যুর পর ওভারলোড যান চলাচল বন্ধ ছিল। দিন তিনেক ধরে তা ফের চালু হয়েছে। রাতের দিকে চার-পাঁচশো লরি যাতায়াত করছে। যার জেরে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকার মানুষ বহুবার আমাকে ও প্রশাসনকে জানিয়েছে। কিন্তু, ওয়ার্ডবাসীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফের ওভারলোড যান চালাতে শুরু করেছে পুলিস। গত ২৩ নভেম্বর রাতে ফের দুর্ঘটনায় দু’টি গুমটি ও বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওইদিন রাত থেকে ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ ছিল না। পানীয় জল পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। পুরসভা থেকে ট্যাঙ্কার এনে জলের সমস্যা মেটানো হয়েছিল।
রামপুরহাট থানার আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রাস্তা ভীষণ খারাপ। তাছাড়া গাড়ি যাতে দ্রুত গতিতে যেতে না পারে, সেজন্য ওই রাস্তায় একাধিক হাম্প দেওয়া হয়েছে। এরপরও গাড়ি উল্টে গেলে আমাদের কী করার আছে। পাশাপাশি টাকা নিয়ে গাড়ি পার করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য গাড়িগুলি পার করার জন্য পুলিসকর্মী থাকেন। তবে কেউ গাড়ি থেকে টাকা তোলে না। কেউ টাকা তোলার ছবি দেখাতে পারলে প্রয়েজানীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।