বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, জেলায় মোট ২৪০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেগুলিতে বর্তমানে প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। যদিও জেলায় যেসব স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী শুরু হতে চলেছে তার বাইরেও বহু স্কুল রয়েছে। ফলে, ছাত্রছাত্রীদের যে সমস্যা রয়েছে তা সেই তিমিরেই থেকে যাবে বলে দাবি শিক্ষা মহলের একাংশের।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের বোলপুর পুরসভা এলাকায় ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী চালু হবে। বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের অন্তর্গত ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা চালু হবে। দুবরাজপুর ব্লকে ২৯টি। দুবরাজপুর শহরে দু’টি। ইলামবাজার ব্লকে ৩৭টি। রামপুরহাট পুরসভায় সাতটি স্কুল রয়েছে। সাঁইথিয়া পুরসভায় চারটি। ১২টি সিউড়ি পুরসভা প্রথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এভাবেই জেলার প্রায় প্রত্যেক ব্লকেই বেশকিছু সংখ্যক করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী চালু করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিউড়ি-১ ও ২, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট-১ ও ২, রাজনগর, নানুর, নলহাটি-১ ও ২, মুরারই-১ ও ২, মহম্মদবাজার, ময়ূরেশ্বর-১ ও ২, লাভপুর, খয়রাশোল প্রভৃতি ব্লক এলাকার স্কুলগুলি রয়েছে।
এব্যাপারে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির বীরভূম জেলার সম্পাদক সুধাংশু শেখর সরকার বলেন, জেলায় ৬১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী চালু হতে চলেছে বলে শুনেছি। তবে, জেলায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী একসঙ্গে চালু হলেই ভালো হতো। অনেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য হাইস্কুলে যেতে পারছে না। সেই জন্য অভিভাবকরা অভিযোগ করছেন।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চম শ্রেণী চালু করলেও সেইসব স্কুলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। কোথাও পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ নেই। কোথাও আবার শিক্ষকের অভাব রয়েছে। তাই সেইসব স্কুলে পঠনপাঠনের মান নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
ময়ূরেশ্বররের বাবলাবনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’জন শিক্ষক নিয়ে স্কুল চলছে। সেখানে পঞ্চম শ্রেণী চালু হলে ছাত্রছাত্রীদের চাপ সামলানো মুশকিল হতে পারে। তাই পরিকাঠামোর দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
সমগ্র শিক্ষা মিশনের এক আধিকারিক বলেন, পঞ্চম শ্রেণী শুরু করার জন্য যেসব স্কুলকে শিক্ষা দপ্তর চিহ্নিত করেছে সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে। যদি কোথাও অসুবিধা থাকে তাহলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
সর্বশিক্ষা মিশনের বীরভূম জেলা প্রকল্প আধিকারিক বাপ্পা গোস্বামী বলেন, সরকারিভাবে পঞ্চম শ্রেণী চালু হওয়ার ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা পাইনি। তবে শুনেছি, জেলায় ৬১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী চালু হতে পারে। সেইজন্য সেইসব স্কুলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে।
বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক বলেন, প্রতি বছরই জেলায় স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মিত হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেও বহু স্কুলে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি জেলাব সব স্কুলেই ফার্নিচার সরবরাহ করার জন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে ১০কোটি ৩৯লক্ষ টাকার তহবিল চেয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া চলতি মাসে আরও কিছু শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ৬১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী চালু হবে। প্রায় প্রত্যেকটি স্কুলেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে। শিক্ষক সমস্যাও মেটানো হবে। সেক্ষেত্রে অন্য স্কুল থেকে প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে শিক্ষক পাঠানো হতে পারে।