বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অভিযুক্ত শীতল মান্না আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তাঁর স্ত্রী এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা। শীতলবাবুর বাড়ি পাঁশকুড়া থানার রাজশহরে। তাঁর গায়ের রং, উচ্চতা সমেত যাবতীয় বিবরণ দিয়ে খোঁজ পেলে পাঁশকুড়া থানার ওসি তথা খুনের ঘটনার তদন্তকারী অফিসারের নম্বরে জানানোর আর্জি জানিয়েছে পুলিস। পোস্টারে থানা এবং ওসির নম্বর দেওয়া হয়েছে। গোলাম মেহাদি ওরফে কালুর বাড়ি শ্যামবল্লভপুরে। দু’জনের বিরুদ্ধে খুন এবং অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে বলে পুলিসের পক্ষ থেকে পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সত্ত্বেও দু’জনে গাঢাকা দিয়ে আছেন। এই অবস্থায় গত ৩ডিসেম্বর দু’জনের বিরুদ্ধে তমলুকের সিজেএম হুলিয়া জারির নির্দেশ দিয়েছেন। পোস্টারে বিষয়টি উল্লেখ করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিস।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে না পারার কারণে গত ২৮নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি ভি সোলেমান নেশাকুমার পাঁশকুড়া থানার ওসি অজয় মিশ্র এবং ময়না থানার ওসি মহম্মদ মহিউল ইসলামকে তলব করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার ক্ষেত্রে খারাপ পারফরমেন্সের কারণে সতর্ক করেন। গত ৮ অক্টোবর পাঁশকুড়ার মাইসোরায় খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা পার্টির ব্লক কমিটির কার্যকরী সভাপতি কুরবান শা। ওই খুনের ঘটনায় ওসি নিজেই তদন্তকারী অফিসার। খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু, খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাদের মধ্যে অন্যতম শীতল মান্না। কারণ দুষ্কৃতীরা শীতল মান্নার গোডাউনে রেইকি করেছিল। খুনের ঘটনায় ধৃত শ্যুটার রাজাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় সে ওই গোডাউনটি দেখিয়েছিল। পরে সেই গোডাউনে হামলা চালানো হয়। মাত্র আটদিনের ব্যবধানে ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় খুন হন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বসুদেব মণ্ডল। বিজেপির বিরুদ্ধে ওই খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাতেই অনেক অভিযুক্ত এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
পাঁশকুড়ার মাইসোরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় স্তরের তৃণমূল নেতা-কর্মীর সঙ্গে বিজেপি নেতা আনিসুরের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। শাসক দলের সেইসব লোকজনকে খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে। খুনের ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এই কৌশল নেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। মাইসোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সহ সভাপতি দীপঙ্কর বেরা বলেন, শীতলবাবুর বাইরে তৃণমূল করলেও ভিতরে বিজেপি করতেন। আনিসুরের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতেন। খুনের ঘটনায় তাঁদের কাজে লাগানো হয়েছে।