বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বহরমপুর শহরে প্রায় ১০০টি মিষ্টির দোকান রয়েছে। সব দোকানের সামনেই শোভা পায় ছানাবড়া। এছাড়া জেলাতে প্রায় ১৫০০টি দোকান রয়েছে। অধিকাংশ দোকানেই এই মিষ্টি পাওয়া যায়। বহরমপুরের আরেক মিষ্টি বিক্রেতা সুজিত সাহা বলেন, ছানাবড়া তৈরি করতে ছানা, মিছরি বা চিনি, এলাচ এবং আটা দরকার হয়। অন্যান্য জেলাতেও এই মিষ্টি তৈরি হলেও আমাদের কারিগরদের মতো তারা তা তৈরি করতে পারে না। বাইরে থেকে যারা জেলায় আসেন তাঁরা বিশেষ এই মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। সারা বছরই ছানাবড়া তৈরি হয়। পুজোর সময় বা অন্যান্য উৎসবে অতিরিক্ত মিষ্টি তৈরি করে রাখতে হয়। জেলার কেউ বাইরে কোথাও আত্মীয়ের বাড়িতে গেলে সঙ্গে করে এই মিষ্টি নিয়ে যান।
এদিন রসগোল্লার জন্মদিন উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ করছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, রসগোল্লার জিআই তকমা আদায় করতে কম বেগ পেতে হয়নি। ওড়িশা তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিল। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বাংলার জয় আসে। কিন্তু ছানাবড়ার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না বলে বলে বিক্রেতাদের বিশ্বাস। তাঁদের দাবি, অন্য কোথাও এই মিষ্টির এমন স্বাদ পাওয়া যায় না। অন্যান্য জায়গার মিষ্টি দেখতেও অন্যরকম। কিন্তু মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া স্বাদে ও মানে সম্পূর্ণ আলাদা। নবাবের আমল থেকেই এর কদর রয়েছে। কালের নিয়মে মুর্শিদাবাদের ইতিহাসে বদল এলেও ছানাবড়া এখনও তার জায়গা ধরে রখেছে। সেকারণে জেলায় কোনও ভিভিআইপি এলে প্লেটে সবার আগে সাজানো থাকে এই মিষ্টি। তাই জেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে মন জয় করা ছানাবড়া বিশেষ স্বীকৃতি আদায়ের জন্য এবার কোমর বাঁধছে মিষ্টি ব্যবসায়ী সংগঠন।