সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ছ’কোটি টাকা ব্যয়ে ঝাড়গ্রামে শহরে হবে রাজ্যস্তরীয় জঙ্গলমহল উৎসব। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শহরের কুমুদকুমারী ইন্সটিটিউশন মাঠে এই উৎসব হবে। বুধবার ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল উৎসবের এক প্রস্ততি বৈঠকে যোগ দিয়ে একথা জানান পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তবে আটদিনের এই উৎসব আরও ভালো করে করা হলে খরচের বহর বাড়তে পারে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খরচ বাড়লেও তা আমরা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ব্যবস্থা করব। তবে এবার কোন মাঠে এই উৎসব হবে, তা নিয়ে জোর চর্চা ছিল। কারণ, গত বছর মে মাসে কুমুদকুমারী ইন্সটিটিউশনের মাঠে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ করে পশ্চিমবঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকেই ঘাস লাগানো হয়েছে। স্কুলের সামনের মাঠে ঘাস লাগানোর ফলে সৌন্দর্য বেড়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ মানুষও চাইছিলেন, এই মাঠে যেন কোন উৎসব বা বা মেলা না হয়। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, শহরের মধ্যে আর কোন বিকল্প মাঠ নেই। তাই এই মাঠেই অনুষ্ঠান হবে। তবে অনুষ্ঠান শেষে মাঠ আগের চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। সুব্রতবাবু বলেন, ওটা আমাদেরই সম্পদ। আমাদের রক্ষা করতে হবে। জেলাশাসককেও সেই কথা বলেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার জন্য বলব।
এদিন দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের সভাঙ্গনে জঙ্গলমহল উৎসবের প্রস্তুতি মিটিং হয়। মিটিংয়ে মন্ত্রী ছাড়াও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি, বিধায়ক চূড়ামণি মাহাত সহ প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এবার জঙ্গলমহল উৎসব ষষ্ঠ বর্ষ। প্রত্যেক বছর এই উৎসবে পশ্চিমাঞ্চলের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান, এই সাতটি জেলার লোকশিল্পীরা যোগ দেন। তবে এবছর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা চাইছি, পশ্চিমাঞ্চল ছাড়াও অনান্য জেলার জনজাতির সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে। এমনকী উত্তরবঙ্গের আদবাসী জনজাতির শিল্পীদেরও আনার চিন্তাভাবনা চলছে।