উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এদিন সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে রেল অবরোধের ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। যদিও যাত্রীদের ভোগান্তির জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিন অবরোধ কর্মসূচিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক আব্দুল রউফ খান, সভাপতি আমিনুর সরকার, সহ সভাপতি রাজকুমার গঙ্গোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সদস্যরা। এদিকে জেলার দুই সংসদ সদস্য তৃণমূলের আবু তাহের খান এবং খলিলুর রহমান রেল সেতু চালু করার বিষয়টি লোকসভায় তুলবেন বলে জানিয়েছেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদের সংসদ সদস্য আবু তাহের খান বলেন, আগেও নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল সেতু চালু করা সংক্রান্ত বিষয়টি লোকসভায় তুলেছিলাম। ফের বিষয়টি লোকসভায় উত্থাপনের পাশাপাশি রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে রেল সেতু চালু হলে জেলাবাসীর পাশাপাশি রাজ্যবাসীর কী সুবিধা হবে এবং রেল কতটা লাভবান হবে সেবিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানাব।
মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে রেললাইন নসিপুর হয়ে আজিমগঞ্জের সঙ্গে জুড়ে দিলে জেলাবাসীকে ঘুরপথে না গিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে সরাসরি পাটনা, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন(মোগলসরাই) হয়ে দিল্লি ও উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে। বিষয়টি উত্থাপন করে ১৯৯১সালে নসিপুর রেলসেতুর দাবি ওঠে। ছ’বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন, বিক্ষোভ ও অবরোধ চলে। অবশেষে জেলাবাসীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে ২০০১সালের ২১জুলাই ৪০০মিটার দীর্ঘ নসিপুর রেলসেতু নির্মাণের অনুমোদন দেয় রেল। ২০০৫সালে মাটি পরীক্ষা পর্ব শেষে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। জমি অধিগ্রহণের দায়িত্ব বর্তায় স্থানীয় প্রশাসনের উপর। ২০১০সালকে লক্ষ্যমাত্রা রেখে ২০০৬সালে নসিপুরে ভাগীরথী নদীর উপর রেলসেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রেলসেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে রেলসেতুর উপরে লাইন পাতার কাজও শেষ হয়। এরপরে স্থানীয় প্রশাসন জমি অধিগ্রহণে নামায় জটিলতা দেখা দেয়। মাহিনগর ও মাহিনগর দিয়ার চর এলাকায় ২১বিঘা জমির ৩৬৫জন জমিদাতা জমির ন্যায্যমূল্য এবং চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নামেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্যা অনেকটাই মিটেছে। তবে বেশ কয়েকজন জমিদাতা এবং রেল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় এখনও সমস্যা কিছুটা রয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে আজিমগঞ্জ জংশন সাড়ে ৬কিলোমিটার। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে নসিপুর ৫কিলোমিটার। এই জায়গায় মাটি ফেলার কাজ শেষ। এখন ডাস্টিং করে স্লিপার বিছিয়ে রেললাইন পাতার কাজ বাকি। ২০১৭সালের ২নভেম্বর থেকে শুরু হয় মাহিনগর থেকে মাহিনগর দিয়ারচর পর্যন্ত এক কিলোমিটার মাটি ফেলার কাজ এবং আরওবি (রেলওয়ে ওভারব্রিজ) নির্মাণকাজ। গতবছর ৬ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাটি ফেলার কাজ চলে। কিন্তু কয়েকজন জমিদাতা আবার আন্দোলনে নামার কারণে ৭ফেব্রুয়ারি কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
রেলযাত্রী সংগঠনের সম্পাদক আব্দুল রউফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতু অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই রেলসেতু চালু হলে মুর্শিদাবাদ থেকে সরাসরি উত্তর ভারতে যাওয়া যাবে। এই জেলার মানুষকে উত্তর ভারত যেতে হলে আর শিয়ালদহ বা হাওড়া যেতে হবে না। পাশাপাশি এই জেলার অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। অবরোধ চলাকালীন রেলের এক পদস্থ কর্মকর্তা ফোন করে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। আগামী দিনে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আরও বড় আন্দোলন সংগঠিত করা হবে। আমাদের আরও দাবি, লালগোলা-রানাঘাট ট্রেনে পানীয় জলের ব্যবস্থা, মুর্শিদাবাদ স্টেশনের ১নম্বর প্লাটফর্ম চালু, ধনধান্য এক্সপ্রেসকে চারদিনের পরিবর্তে সাতদিন চালাতে হবে।