উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, রাজ্য সরকার গুটখা বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সরকারি নির্দেশ কার্যকর করতে আমরা টাস্কফোর্স গঠন করছি। প্রথমে জেলা ও ব্লক স্তরে টাস্কফোর্সের সদস্যরা সচেতনতামূলক প্রচার চালাবেন। তারপরেই পুরোপুরি গুটখা বিক্রি বন্ধ করতে টাস্কফোর্স ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন বাজার এলাকায় তল্লাশি চালাবেন।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলার সদর শহর সহ ব্লক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছোটখাট দোকান থেকে শুরু করে বড় দোকানগুলিতে পান, বিড়ি, সিগারেটের সঙ্গে রমরমিয়ে গুটখা বিক্রি হয়। মূলত বাসস্ট্যান্ড, বিভিন্ন আকারের বাজার, রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা এবং ছোটখাট দোকানগুলিতে বেশি পরিমাণে তা বিক্রি হয়। গুটখা থেকে দাঁত, জিভ ও মুখের বিভিন্ন ধরনের অসুখের পাশাপাশি পেটের রোগ ক্যান্সার সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পথচলতি মানুষ গুটখার পিক ফেলায় একাধিক জায়গায় দৃশ্যদূষণ হচ্ছে। তাই ক্ষতিকর এই দ্রব্য বিক্রি বন্ধ ও রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি রাজ্য সরকার ৭ নভেম্বর থেকে গুটখা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলায় আইনত তা নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু, রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা লাগু হওয়ার পর প্রায় এক সপ্তাহ কাটলেও বাঁকুড়া জেলায় আগের ছবির কোনও পরিবর্তন হয়নি। এখনও জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা, স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, লালবাজার, সতীঘাট, গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড, গোবিন্দনগর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, কাঠজুড়ি ডাঙা, কেন্দুয়াডিহি, স্কুলডাঙা, কালীতলা, জুনবেদিয়া পাঁচবাগা সহ জেলা সদরের একাধিক জায়গায় প্রকাশ্যে রমরমিয়ে বিক্রেতারা গুটখা বিক্রি করছেন। তাই অবিলম্বে এই কারবার বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসন টাস্কফোর্স তৈরি করে অভিযানে নামার পরিকল্পনা করছে।
গোবিন্দনগর হাসপাতালের সামনে রাস্তার ধারে এক অস্থায়ী দোকানের মালিক বলেন, পান, বিড়ি, সিগারেট আর গুটখা বিক্রি করে দিনে শ-পাঁচেক টাকা রোজগার হয়। তা দিয়েই কোনওরকমে সংসার চলে। যার একটা বড় অংশ আসে গুটখা থেকে। ওই ব্যবসায়ীর কথায়, একটি বাক্সে ৩০ প্যাকেট গুটখা থাকে। তা বিক্রি করলে আমাদের ২০ টাকা রোজগার হয়। সারাদিনে ৮ থেকে ১০ বাক্স গুটখা অনায়াসেই বিক্রি হয়ে যায়। তাই চাহিদা থাকায় রোজগারের আশায় আমরা দোকানে রাখছি।
পাশে থাকা আরএক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা তো কয়েকটা বাক্স এনে সারাদিনে বিক্রি করি। কিন্তু, যে সমস্ত কোম্পানিতে এগুলি তৈরি হয় সেখানে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ প্যাকেট তৈরি হচ্ছে। তাই আমার মনে হয়, ছোট দোকানদারদের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে সরকারের ওই কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। তাহলে প্রশাসনকে এত দোকানের উপর নজরদারি চালাতে হবে না।