বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলাই মেশিন দেওয়ার জন্য ৩১৬জনের নাম পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮৯জন উপভোক্তার সেলাই মেশিন বাবদ টাকা চলে এসেছে। এছাড়াও ছোটখাটো ব্যবসার জন্য আরও ২৩৪জনের নাম পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ব্লকের বিডিও-র কাছ থেকে আর্থিক পুনর্বাসন বাবদ গ্র্যান্ট দেওয়ার জন্য জেলা থেকে উপভোক্তার নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। তাতে অনেক আবেদনপত্র জমা পড়ে। অনেকের ইনকাম সার্টিফিকেটে মাসিক পারিবারিক আয় আড়াই হাজার টাকার বেশি থাকায় সেই সব নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ), জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের আধিকারিক এবং জেলা পরিষদের শিশু নারী উন্নয়ন এবং জনকল্যাণ ও ত্রাণ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি উপভোক্তা তালিকা চূড়ান্ত করেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত চূড়ান্ত উপভোক্তা তালিকা রাজ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেলাই মেশিনের জন্য ইউনিট পিছু ১০হাজার বরাদ্দ হয়। সেই টাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেশিন কিনে দেওয়া হয়। আর ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ১৫হাজার টাকার অনুদান উপভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। আগে সেলাই মেশিনের জন্য পাঁচ হাজার এবং স্মল ট্রেড বাবদ ১০হাজার টাকা দেওয়া হতো। এখন সেই টাকার পরিমাণ বেড়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নন্দকুমার ব্লক থেকে ১২টি, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক থেকে ৬৩টি, কোলাঘাট থেকে ৮৭টি, পাঁশকুড়া থেকে ১০৯, চণ্ডীপুর থেকে ১৪টি, কাঁথি-১থেকে ৩০টি, দেশপ্রাণ ব্লক থেকে ১৫টি, রামনগর-১ব্লক থেকে ৪৮টি, রামনগর-২ব্লক থেকে ২৭টি, খেজুরি-১ব্লক থেকে ১২টি, খেজুরি-২ব্লক থেকে ৩৩টি, ভগবানপুর-২ব্লক থেকে ৪৮টি, এগরা-১ব্লক থেকে ১৭২টি, পটাশপুর-১ব্লক থেকে ১৯টি, পটাশপুর-২ব্লক থেকে ২৮টি, ভগবানপুর-১ব্লক থেকে ১০টি প্রস্তাব জমা পড়েছিল। সেইসব আবেদনপত্র ঝাড়াইবাছাই করে মোট সাড়ে পাঁচশো জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলাই মেশিন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য টাকা দেওয়ার পর উপভোক্তারা সঠিকভাবে তার ব্যবহার করছেন কি না, দু’-তিন মাস অন্তর বিডিও অফিসের কর্মীরা উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে একটি রিপোর্ট জেলায় পাঠাবেন। এটাই ওই স্কিমের নিয়ম। কেউ সেলাই মেশিন বিক্রি করে দিয়েছেন কি না কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য টাকা নিয়েও কেউ সেটার সদব্যবহার করছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে হয়। আপাতত ৬২লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। সেই টাকা এলেই উপভোক্তাদের দেওয়া হবে।
জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের অফিসার মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, আর্থিক পুনর্বাসন প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সেলাই মেশিন দেওয়ার জন্য ৩১৬জন এবং স্মল ট্রেডের জন্য আরও ২৩৪জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। এজন্য মোট ৬২লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে।