বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, কালনা থানার ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী কোম্পানিডাঙা এলাকায় বালি তোলার সরকারি অনুমোদন পায় এলাকার এক বাসিন্দা। অভিযোগ, এই বালি তোলার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মকানুন মানা হচ্ছে না। এছাড়া বালি বহনকারী গাড়ির চলাচলের জেরে এলাকার রাস্তাঘাট সাধারণ মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বেশ কিছুদিন ধরেই সোচ্চার হচ্ছেন। এই ঘটনায় আগে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও ঘটে। বুধবার রাতে ফের দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। জখম হয় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষই কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। আরও দু’জন পুলিসি নজরদারিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থ হলে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বালি তোলাকে কেন্দ্র করে শান্ত এলাকা অশান্ত হয়ে উঠছে। অবিলম্বে বালি তোলার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্থায়ী সমাধান করা হোক।
অন্যদিকে, শুক্রবার এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় হাটকালনা পঞ্চায়েতে শান্তি বৈঠক করেন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালনা-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল কুমার দাঁ, হাটকালনা পঞ্চায়েতের প্রধান বাপ্পা মজুমদার প্রমুখ। উভয়পক্ষের লোকজনই শান্তির পরিবেশের পক্ষে সাওয়াল করেন। বিধায়ক বলেন, আইন আইনের মতো করে চলবে। দু’পক্ষকে আলোচনায় ডাকা হয়েছিল। আগামীদিনে যাতে এলাকায় কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয়, তা নিয়ে উভয়পক্ষ সহমত প্রকাশ করেছেন। আমরা উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলেছি।