বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বন দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী শহরাঞ্চলে একটি ও গ্রামাঞ্চলে তিনটি গাছ একসঙ্গে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে, অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রেও এলাকায় সেই গাছটির প্রয়োজনীয়তাও বিবেচনা করা হয়। কিন্তু, দেখা গেল বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে ছ’টি বহু পুরনো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছের কাটা অংশগুলি বিদ্যালয়েই মজুত করা হয়েছে। সেগুন সহ বিভিন্ন গাছ ছিল বিদ্যালয় ও কলেজ মধ্যবর্তী স্থানে। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কাছ থেকে কোনওরকম লিখিত অনুমতি না নিয়েই গাছগুলিকে সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়। এনিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একদিকে, যখন গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে সচেতন করে সরকারি তরফে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। অন্যদিকে সেখানে একটি সরকারি বিদ্যালয় বিনা অনুমতিতে গাছ কেটে ফেলায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এদিকে, মঙ্গলবার সকালে বোলপুর কলেজের পড়ুয়ারা গাছ কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা দাবি করেন, কীভাবে কলেজ বন্ধ থাকাকালীন গাছগুলি কেটে নেওয়া হয়েছে। সেবিষয়ে জানতে তাঁরা এদিন বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও দেখা করেন। জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের একটি নতুন শ্রেণীকক্ষ তৈরির জন্য গাছগুলি কাটা হয়েছে। এছাড়াও গাছগুলির পাশে অবস্থিত পুরনো যে শ্রেণীকক্ষগুলি রয়েছে শিকড়ের ফলে সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। অন্যদিকে, গাছগুলির কাঠ থেকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এবিষয়ে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় সাধু বলেন, গাছ কাটার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি।
বীরভূম জেলা অতিরিক্ত বন আধিকারিক বিজনকুমার নাথ বলেন, পুজোর ছুটিতে অফিস বন্ধ ছিল। আমাদের কাছে গাছ কাটার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।