বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগানদার ওই যুবক অক্টোবরে বাড়ি ফিরে আসে। ৫তারিখ সে জিয়াগঞ্জে এসে ১০০টাকা দিয়ে ধারালো অস্ত্র কেনে। সেটি ব্যাগে ভরে সে বাড়ি চলে যায়। নবমীর দিন পুজো দেখার অছিলায় সে ওই শিক্ষকের বাড়ির চারপাশে রেইকি করে যায়। কোন পথ দিয়ে গেলে সহজেই সদরঘাটে পৌঁছনো যাবে সেটাও সে সেদিনই ঠিক করে নেয়। এরপর দশমীর সকালে প্রকাশবাবুর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সে তাঁকে ফোন করে। সেইমতো সে তাঁর বাড়িতে চলে আসে। সেইমতো ব্যাগে ধারালো অস্ত্রটি নিয়েই সে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায়। বিমার কাগজও সঙ্গে আনে। তার ডাকে দরজা খুলে প্রকাশবাবু বাড়ির ভিতর দিকে হাঁটতে শুরু করেন। সেসময় তাঁর ঘাড়ে সে কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়তেই অন্য ঘরে থাকা তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকেও সে ওই অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ মারতে থাকে।
পুলিস তদন্তে জানতে পেরেছে, ১২টা ৬মিনিট থেকে ১২টা ১১মিনিটের মধ্যেই সমস্ত অপরেশন শেষ করে বাড়ি ফিরে যায়। জেলার পুলিস সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ১২টা ৩মিনিটে বিউটি পরিচিত একজনকে ভিডিও কল করেছিলেন। পরে ১২টা ৬মিনিটে ফের তিনি অন্য আরেকজনকে ভিডিও কল করেন। ততক্ষণ সব ঠিকই ছিল। তারপরেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে খুন করে বেরিয়ে যায়। ১২টা ১১মিনিটের মধ্যে খুন হয়েছিল। তদন্তকারীরা বলেন, অভিযুক্ত যুবক কালো রংয়ের টি-শার্ট পরে এসেছিল। সেকারণে সে কিছুটা রাস্তা ওই পোশাক পরে হেঁটে গেলেও কেউ তা বুঝতে পারেনি। পরে সেই টি-শার্ট অবশ্য সে একটি পুকুরে ফেলে দেয়। টি-শার্টের তলাতেও সে পরিকল্পনা করে আরও একটি পোশাক পরেছিল। প্যান্টটিও কিছুটা দূরে ফেলে বারমুডা পরে একটি টোটো ভাড়া করে সদরঘাটে পৌঁছয়। সেখান থেকে গঙ্গা পেরিয়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছে যায়। খুনের পরেও তার কোনও হেলদোল ছিল না। দুপুরে স্নান করে খাওয়া দাওয়ার পর বিশ্রাম নেয়। তবে ওইদিন বাড়ি থেকে বেরয়নি। তবে সে ঘটনাস্থলেই ব্যাগ, চটি এবং বিমার কাগজ ছেড়ে চলে যায়। তদন্তকারীরা বলেন, খুনের পরেও তার কোনও হেলদোল ছিল না। ইচ্ছা করলে সে পালিয়েও যেতে পারত। কিন্তু তা না করে সে বাড়িতেই থেকে যায়। তবে প্রথমদিকে সে তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। ওইসময় শিক্ষকের মোবাইল নম্বরে যারা ফোন করেছিল তাদের প্রত্যেকের লোকেশন নেওয়া হয়েছিল। ওই যুবক জেরায় প্রথমে দাবি করে, দশমীর দিন সে সাগরদিঘিতে ছিল। অথচ তার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখাচ্ছিল আজিমগঞ্জ। সব কিছু প্রমাণ তার সামনে রাখার পর সে জেরায় সব স্বীকার করে নেয়।