বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের প্রাচীন পুরুলিয়া শহরে একাধিক শপিংমল থেকে শুরু করে আধুনিক বিনোদনের পরিকাঠামো গড়ে উঠলেও এখনও পর্যন্ত গোটা শহরে একটিও জায়গায় কোনও বৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এবিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভা তথা জেলা প্রশাসনও কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, নিত্যদিন পুরুলিয়া শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বনদপ্তরের আবাসনের উল্টোদিকের রাস্তায় ফুটপাত সহ রাস্তা দখল করে দিনের অধিকাংশ সময় টাটা ম্যাজিক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। প্রায় ১০টিরও বেশি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে বলে অভিযোগ। অনেক সময় দু’টি গাড়ি পাশাপাশি ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। একই সঙ্গে ওই রাস্তা দিয়ে বিটি সরকার রোড যাওয়া পর্যন্ত গোটা ফুটপাতেই অবৈধ ভাবে দোকানের সামনে বিভিন্ন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে বলে অভিযোগ। বাসস্ট্যান্ড থেকে রাঁচি রোডের দিকে যাওয়ার রাস্তাতেও অবৈধভাবে একাধিক টোটো দাঁড়িয়ে থাকে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসস্ট্যান্ড থেকে হরিপদ সাহিত্য মন্দির যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে গ্যারেজের পাশে সারি দিয়ে ছোট গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে, পুরুলিয়া জেলা আদালতের বাইরে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার রাস্তায় বিভিন্ন রুটের বাস বাসস্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে রাস্তার উপর দীর্ঘক্ষণ অবৈধ ভাবে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলে। শহরের বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, শুধুমাত্র বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা নয়, গোটা শহরজুড়েই বিভিন্ন দোকানের সামনে এবং বড় রাস্তার পাশে গাড়ি অবৈধ ভাবে দিনের বিভিন্ন সময় দাঁড়িয়ে থাকে। শহরের মধ্যে একের পর এক বহুতল শপিংমল গড়ে উঠলেও অধিকাংশ শপিংমলে বৈধ পার্কিংয়ের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপরেই ওই শপিংমলের ক্রেতারা অবৈধ ভাবে গাড়ি পার্কিং করতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ।
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা গোপাল রায়, অজিতাভ মজুমদার বলেন, বাইকের বিরুদ্ধে পুলিস লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তার উপর বাইক রাখা থাকলে পুলিস তা আটক করে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও বাইকের চাকার হাওয়া খুলে দিচ্ছে। এই কাজ অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু, শুধুমাত্র বাইকের বিরুদ্ধে অভিযান কেন? যেসব জায়গায় অবৈধভাবে পার্কিং করাটা ছোট গাড়ির চালক এবং মালিকরা কার্যত নিয়মে পরিণত করেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পুরুলিয়া জেলা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত এক আধিকারিক বলেন, জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে শহরে কোথাও বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় অভিযান চালাতে গিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে বেআইনি দখলদারদের সরানো এবং অবৈধ পার্কিংয়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে একা পুলিসের পক্ষে গোটা শহরকে সম্পূর্ণভাবে যানজট মুক্ত করা সম্ভব নয়।
এবিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সামিমদাদ খান বলেন, শহরে বৈধ পার্কিংয়ের জায়গা নেই, একথা সত্যি। পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের মাঝে পার্কিংয়ের জায়গা খোঁজা হচ্ছে। তবে এখনও সুবিধাজনক জমি পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে পুরুলিয়ার ডিএসপি(ট্রাফিক) দুর্লভ সরকার বলেন, শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে পুলিসের পক্ষ থেকে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এটা সাময়িক সমাধান মাত্র। স্থায়ী সমাধানের জন্য পুরসভা, পুলিস এবং সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরকে একযোগে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।