বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মঙ্গলবার দশমীর দিন সকালে জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানের বাড়ি থেকে শিক্ষক দম্পতি ও ছেলের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে এখনও এলাকায় একটা থমথমে পরিবেশ রয়েছে। চাপা আতঙ্কের ছাপ এলাকাবাসীর চোখে মুখে এখনও স্পষ্ট। আততায়ীরা এখনও পুলিসের নাগালের বাইরে থাকায় স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এলাকার জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে না ফেরায় এদিন কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো অনাড়ম্বরভাবে কেটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লেবুবাগান এলাকার বাসিন্দাদের সিংহভাগই পূর্ববঙ্গের। কাজেই প্রতিবছর এই এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ধুমধামের সঙ্গে ধনদেবীর আরাধনা হয়। কিন্তু মর্মান্তিক খুনের ঘটনায় চাপা আতঙ্ক এবং ভয়ের পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। বারবার আসছে পুলিসের গাড়ি। এলাকার এক বধূ বলেন, লেবুবাগানের প্রতিটি বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো খুব ধুমধাম করে হয়। কিন্তু এবার শুধু পুজোটুকুই হয়েছে। এলাকার আর এক বধূ বলেন, প্রায় ৭০বছর ধরে আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়। পাড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনে বাড়ি ভর্তি থাকে। পুজো শেষে সকলকে খিচুড়ি, পাঁচ তরকারি, চাটনি, পায়েস খাওয়ানো হয়। কিন্তু এবছর শুধুমাত্র পুরোহিত ডেকে পুজোটুকু করা হয়েছে। একটা মানসিক অশান্তির মধ্যে রয়েছি। এলাকার বাসিন্দা রানা দাস বলেন, ওই বাড়ির পিছনেই আমাদের বাড়ি। এত বড় ঘটনার পরে থেকে একদিনও রাতে ঠিকভাবে ঘুমোতে পারিনি। প্রতিবছর বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হলেও এবছর পুজো বন্ধ রেখেছি।
এদিকে খুনের ঘটনার পরে কয়েকজনকে আটক করে পুলিস দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করলেও পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অজিত কর বলেন, ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন পরও পুলিস খুনিদের ধরতে পারেনি। বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।