বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ট্যুইট করে মৃত শিক্ষককে তাঁদের কার্যকর্তা বলে দাবি করেছেন। তিনি লিখেছেন, মুর্শিদাবাদের আরএসএস কার্যকর্তা প্রকাশ পাল, তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী এবং ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে সাধারণ লোকের জীবন সুরক্ষিত নয়, সেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কীভাবে ভালো বলা যাবে। দিদি আপনার রাজ্যে এ কী হচ্ছে। এদিন মৃতদের বাড়ি যান বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
যদিও পুলিস বা পরিবারের লোকজনদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। মৃতার দিদি বন্ধুপ্রিয়া সরকার বলেন, আমরা চাই প্রকৃত দোষীদের সাজা হোক। ঘটনার মোড় যেন অন্যদিকে না ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিস সুপার তন্ময় সরকার বলেন, রাজনীতির সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিস সুপার মুকেশ কুমার বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
এদিকে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে, শিক্ষক সংগঠন আন্দোলনে নামে। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। পুলিস তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য পেয়েছে। তারা জানতে পেরেছে, প্রকাশবাবুর মতো বিউটিদেবীও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন। তবে তাঁর নিজের নামে অ্যাকাউন্ট ছিল না। ছেলের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। এক আধিকারিক বলেন, দম্পতির মধ্যে সম্পর্কে বেশ কিছুদিন ধরেই চিড় ধরেছিল। তবে বাইরে থেকে কেউ তা বুঝতে পারত না। প্রকাশবাবুদের বাড়ির পাশেই ভাড়া থাকেন রানা দাস। তিনি বলেন, ওঁদের মধ্যে কোনও দিন অশান্তি হতে দেখেনি। ওঁরা খুব চুপচাপ থাকতেন। বাইরের কারও সঙ্গে মিশতেন না। এমনকী ছেলেকেও কারও সঙ্গে মিশতে দিতেন না। রাতের দিকে বাড়িতে কম আলো জ্বালিয়ে রাখতেন। কেউ এলেও বোঝা যেত না।
পুলিস জানতে পেরেছে, হত্যার পিছনে পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ রয়েছে। তিনি জিয়াগঞ্জের বাইরের বাসিন্দা হতে পারেন। আততায়ীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল। সেকারণে সে খুব সহজেই মাদক মেশানো খাবার ওই দম্পতিকে খাওয়াতে পারে। তারপরেই হত্যালীলা চালায়। সবাই বেহুঁশ হয়ে থাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারলেও কেউ চিৎকার করতে পারেনি। খুন করার পর প্রমাণ লোপাট করতে জামার রক্ত ধুয়ে ফেলেছিল। সে পোশাক একটি পুকুরে ফেলে দেয় বলে পুলিস এক মহিলার কাছে থেকে জানতে পেরেছে। আততায়ীকে পালানোর সময় কয়েকজন দেখেছে। তাদের বয়ান অনুযায়ী পুলিস স্কেচ আঁকারও চেষ্টা করছে। এছাড়া ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রয়োজনে জেলা পুলিস সিআইডিরও সাহায্য নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এক আধিকারিক বলেন, প্রকাশবাবু শিক্ষকতার পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর টাকার লেনদেন ছিল। এরকম বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বলেছে। তবে সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়টির উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি থেকে পুলিস একজনের মোবাইল নম্বর এবং নাম পেয়েছে। তার সঙ্গে আধিকারিকরা কথা বলার চেষ্টা করছে। এছাড়া সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।