বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধৃত শিক্ষককে সোমবার স্পেশাল কোর্টে তোলা হয়েছিল। পুলিসের পক্ষ থেকে চারদিন নিজেদের হেপাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু বিচারকের কাছে ওই নাবালিকার ১৬৪ (গোপন জবানবন্দি) করানোর আবেদন জানাই। সেই মতো বিচারক পুলিস হেপাজতের আবেদন খারিজ করে ১৬৪ করানোর নির্দেশ দেন। সোমবারই তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছিল বুধবার।
অভিষেকবাবুর দাবি, গোপন জবানবন্দিতে ওই নাবালিকা জানিয়েছে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। অভিষেকবাবু বলেন, কেউ প্ররোচনা দিয়ে এই অভিযোগ করিয়েছে। এদিন সেই মামলা কোর্টে উঠলে বিচারক পুলিস হেপাজতের আবেদন খারিজ করে ওই শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ব্যাপারে পকসো আদালততে সরকারি আইনজীবী প্রবাল বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও কথা বলতে চাননি। অভিযোগকারীদের পক্ষেও কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিন আদালত চত্বরে উপস্থিত ওই শিক্ষকের ভাই বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি মিথ্যা অভিযোগে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন দাদা। আদালতে সেটাই প্রমাণ হল। তিনি বলেন, এইভাবে কারও প্ররোচনায় পড়ে শিক্ষকদের যদি এই ধরণের অভিযোগে ফাঁসানো হয় তাতে আগামীদিনে কেউই শিক্ষক হতে চাইবেন না। এই চক্রান্ত শিক্ষক সমাজকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর যৌন হেনস্তা করেছেন স্কুলেরই এক শিক্ষক। এই অভিযোগে গত শনিবার তুলকালাম ঘটে মল্লারপুর থানার আম্ভা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিভাবকরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে ওই শিক্ষককে তাঁদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। প্রায় চার ঘণ্টা পর পুলিস ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে ওই ছাত্রীর মা শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।