বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিনের সভায় বিজেপি ও সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর দীর্ঘদিন চুপ করে থাকা সিপিএমের হার্মাদরা জ্যাকেট পরিবর্তন করে দাপাদাপি শুরু করেছিল। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আইন মেনে ৯০শতাংশকে ঠান্ডা করে দিয়েছি। এখনও কোথাও কোথাও তারা ফুটফাট করছে। যেমন অসুখ তার জন্য তেমন ওষুধ আমার কাছে রয়েছে। আমি এই বিষয়ে স্পেশালিস্ট। আমি নন্দীগ্রাম ও জঙ্গলমহলকে ঠান্ডা করে দিয়েছি। আর সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে গিয়ে সেখানকার কংগ্রেসকেও নাড়িয়ে দিয়ে দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়ে এনেছি। বাঁকুড়া আমার চেনা মাটি। এখানেও আমি আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে দলকে পুনরায় আগের জায়গায় প্রতিষ্ঠা করব।
তিনি বলেন, আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পুরসভা আগের মতোই ধরে রাখার চেষ্টা করব। ওন্দায় এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবু ছাড়াও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়ার সাংগঠনিক সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁ, বিধায়ক শম্পা দরিপা, গুরুপদ মেটে, স্বপন বাউরি, যুব নেতা রাজীব ঘোষাল, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জোড়াফুলের প্রতীকে জিতে বিজেপির পতাকা ধরা যাবে না। যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করে যেতে বলুন। তাহলে দেখবেন, অর্ধেক সদস্য দু’কূল হারানোরআশঙ্কায় লাফালাফি বন্ধ করে দিয়ে ফের তৃণমূল অফিসে গিয়ে তেল মাখাতে শুরু করেছেন। যাঁরাই পদত্যাগ না করে অন্যদলে গিয়েছেন, জেলা নেতৃত্বকে তাঁদের বিরুদ্ধেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি যাঁদের ফুসলিয়ে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে হাতে পাতাকা ধরিয়ে দলে টানার চেষ্টা করেছিল, তাঁরা ধীরে ধীরে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে শুরু করেছেন। কিছুদিন অপেক্ষা করলেই দেখতে পাবেন, সবাই ফিরে এসেছেন। ওদের ঢেঁড়া পেটানোই সার হয়েছে। আমরা হয়তো কোনও কোনও জায়গায় পুরনো কর্মীদের সঙ্গে সেভাবে সমন্বয় রাখতে পারিনি। তাই ওই সমস্ত জায়গায় আমরা দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, দলের দুর্দিনে যাঁরা প্রাণ বাজি রেখে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের ক্ষমতায় এনেছিলেন, তাঁদের গুরুত্ব দিতে হবে। দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টন ও ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একাধিক নির্দেশিকা দেওয়ার পাশাপাশি এদিনও ফের ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটে ভোটের দাবি তোলেন শুভেন্দুবাবু।
তিনি বলেন, যেখানেই ব্যালটে ভোট হয়েছে। সেখানেই বিজেপি গোহারা হেরেছে। এরপরেই তিনি লোকসভার পর গুজরাত, রাজস্থান, কর্ণাটক ও উত্তরাখণ্ডের একাধিক নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরেন। এরপরেই তিনি বলেন, আমরাও চাই, আগামীদিনে ব্যালটে ভোট হোক। তাতে যদি মানুষ আমাদের বিপক্ষে রায় দেন, আমরা মানুষের দেওয়া সেই রায় মাথা পেতে নেব। কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়নকে সামনে রেখে আগামীদিনে নির্বাচন হোক। কারা সাধারণ মানুষের জন্য বেশি উন্নয়নের কাজ করছে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ হোক। কিন্তু, তা না করে ডান্ডা দেখিয়ে দখলের রাজনীতি করতে চাইলে আমরা তার প্রতিবাদ জানাবই।
এদিনের সভা থেকেই জেলার সাংগঠনিক কাজকর্মে নজরদারির জন্য জেলা সভাপতিদের পাশাপাশি শুভেন্দুবাবু প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ ও খাতড়ার তৃণমূল নেতা জয়ন্ত মিত্রকে কো-অর্ডিনেটর পদে বসান। কিছুদিন আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাঁটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবানি হেমব্রম ও সদস্য শিবানি রায় এদিন ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এছাড়াও নাকাইজুড়ি পঞ্চায়েততের তিন সদস্য তাঁদের অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরেন।