শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
প্রতিবছরের মতো এবারও বিষ্ণুপুরে উল্টো রথের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই কমিটির মধ্যে জৌলুসের প্রতিযোগিতা চলে। তা দেখতে শহরের বাসিন্দারা ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাসিন্দারা ভিড় জমান। শোভাযাত্রা শুরুর আগে থেকে কৃষ্ণগঞ্জ ও মাধবগঞ্জে মন্দির প্রাঙ্গণে ব্যাপক ভিড় জমে। তাঁরা মাধবগঞ্জে মন্দিরের দাওয়ায় রাখা রাধা কৃষ্ণের সাজানো বিগ্রহ দেখেন। সেখানে বসা মেলাতেও ভিড় জমান। কৃষ্ণগঞ্জের শোভাযাত্রা রুদ্রগলি, কৈলাসতলা, কুমোরপাড়া, কাইতিপাড়া, ষষ্ঠীবটতলা, রসিকগঞ্জ ও উকিলপাড়া হয়ে গোপালগঞ্জে আসে। সেখানে বুড়াশিবের মন্দিরে আরতির পর তা যায় ঢেলাদুয়ারে। মাধবগঞ্জের শোভাযাত্রা বোলতলা, বাহাদুরগঞ্জ, চকবাজার থানাগোড়া, মটুকগঞ্জ হয়ে তিলকবাবুর মোড়ে আসে। সেখানেই দুই বিগ্রহের আড়াআড়ি দর্শন হয়। সেখানে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় তার জন্য ওই এলাকায় পুলিস আগে থেকেই দু’টি ব্যারিকেড করে রাখে। দু’টি শোভাযাত্রা দু’পাশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। শহর পরিক্রমা করে শোভাযাত্রা মন্দির প্রাঙ্গণে আসতে রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে যায়। শোভাযাত্রায় দর্শনার্থীদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জের আটপাড়ার আরাধ্য দেবতা শ্রী শ্রী রাধালালজিউ এবং এগারোপাড়ার শ্রী শ্রী মদনলাল জিউ। রাধালালজিউয়ের প্রতীক বিগ্রহ গরুড় এবং মাধবগঞ্জের এগারোপাড়ার প্রতীক এঁড়ে গোরু। আরাধ্য দুই দেবতা সারাবছর মন্দিরের ভিতরে স্থায়ী সিংহাসনে পূজিত হলেও উল্টো রথের সময় ঠাকুরের বিগ্রহ দর্শনার্থীদের জন্য বারান্দায় সাজিয়ে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার দুই রথের শোভাযাত্রা বের হয়। তাকে কেন্দ্র করে এদিন বিষ্ণুপুর শহর যেন আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায়। জাঁকজমকে একে অপরকে টক্কর দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
কৃষ্ণগঞ্জ রথ কমিটির সভাপতি রবিলোচন দে বলেন, একটা সময় দুই রথের শোভাযাত্রার প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো লড়াই হয়েছে। এমনকী তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষেরও ঘটনা ঘটেছে। তবে সেসব এখন অতীত। মাধবগঞ্জ রথ কমিটির সম্পাদক গৌতম গোস্বামী বলেন, এখন দুই রথ কমিটির মধ্যে সৌহার্দ্য পূর্ণ প্রতিযোগিতা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিনের শোভাযাত্রায় বিষ্ণুপুর শহরে কার্যত জনজোয়ারের সৃষ্টি হয়।