নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার শহরে প্রতিবছরই বর্ষার সময় বৃষ্টির জল জমে। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। তাছাড়া সারা বছরই শহরের বিভিন্ন এলাকার নিকাশি নালায় জল জমে থাকে। ফলে মশা, মাছির প্রকোপ এখানে সারা বছরই। শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে গেলে সুপরিকল্পিত কাজের প্রয়োজন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট (এমইডি) একটি ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআর তৈরি করছে। যাতে শহরের দু’টি জোনে নিকাশি নালা সংস্কারের জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এই ডিপিআর বানানোর কাজ শেষ হলেই এমইডি সেটি পুরসভার হাতে তুলে দেবে। পুরসভা সেটি পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে পাঠাবে। এই পরিকল্পনা অনুসারে আগামী দিনে নালা সংস্কারের কাজ হলে কোচবিহার শহরের নিকাশি ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হবে ও শহরের মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে বলে মনে করছে পুরসভা। মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুমন সরকার বলেন, কোচবিহার শহরে নিকাশি নালা তৈরির জন্য মোট ১৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই কাজের জন্য কোচবিহার শহরকে মোট সাতটি জোনে ভাগ করা হয়েছিল। তারমধ্যে দু’টি জোনের কাজের জন্য আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তারই ডিপিআর তৈরি হচ্ছে। সেটি হলে পুরসভায় জমা দেওয়া হবে।
কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আগে থেকেই কাজ চলছে। কিছু কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। কিন্তু এসব কাজ হলেও বর্ষার সময় শহরের জল জমার সমস্যা, নিকাশি নালার বেহাল দশা প্রভৃতি কারণে নাগরিক সুবিধা ও সৌন্দর্যায়ন অনেকটাই বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের জল জমার সমস্যা মেটাতে অনেকদিন আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এবার তার ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। আগামী দিনে সিভিল ও ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল এই দুই ভাগে কাজ হওয়ার কথা। শহরের একাংশ জল পরিস্রুত করে তোর্সা নদীতে ফেলা হবে। পাশাপাশি বর্ষার সময় যে জল জমা হয় সেই জল পাম্প করে নদীতে ফেলা হবে। এছাড়াও দু’টি জোনের মধ্যে জোন-১’এ ১২ কিমি ও জোন-২’এ আট কিমি নিকাশি নালা ও মোট ছ’টি পাম্প হাউস তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে।