শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ভোটারদের প্রভাবিত করার লক্ষ্যেই বোমাবাজি করা হয়েছে বলে তৃণমূল ও কংগ্রেস একে অন্যের উপর দায় চাপাতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়েও সরব জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
ভোট এলেই অশান্তির জন্য চর্চায় থাকে বাটনা এলাকা। গত বছর মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোট গ্রহণ ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। একাধিক মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
সূত্রের খবর, ওই এলাকায় মূল লড়াই কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। এদিন সকাল থেকে এক নাগাড়ে কংগ্রেসের দিকে ভোট হয়েছে বলে দাবি দলের স্থানীয় নেতৃত্বের। দুপুর গড়াতেই কংগ্রেসের বাকি ভোটারদের আতঙ্কে রাখতে তৃণমূল চক্রান্ত করে বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী ওয়াসিম আক্রামের অভিযোগ, একটি বাইকে দু’জন এসে পরপর দু’বার বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। সকাল থেকে কংগ্রেসের পক্ষেই ভোট পড়ছিল ওই বুথে। ভোট আটকানোর জন্যই হয়তো তৃণমূলের কেউ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
মালদহে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আলবেরুনী জুলকারনাইনের দাবি, আমাদের প্রার্থী মোস্তাক আলম জিতছেন। তৃণমূলের বোমাবাজি করে লাভ নেই। ভয় দেখিয়ে ভোট নেওয়ার যুগ শেষ হয়েছে, সেটা তৃণমূল জানে না। অন্যদিকে, মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির পাল্টা অভিযোগ, সকাল থেকে এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছিল। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্যই ষড়যন্ত্র করে বোমা ফাটাচ্ছে কংগ্রেস। রাজ্যে এবার তারা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে। সেটা ভেবেই তারা দিশেহারা হয়ে বোমা ফাটাচ্ছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি, বাম-কংগ্রেস জোট ও বাহিনী তৃণমূলের ভোটারদের প্রভাবিত করছে। বাহিনীর একাংশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। এসব কার নির্দেশে হচ্ছে, সব খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এর শেষ দেখেই ছাড়ব।
উত্তর মালদহের বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি অয়ন রায়ের কটাক্ষ, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পঞ্চায়েতের মতো ভোট লুট করত তৃণমূল। বাহিনী থাকায় মানুষ খোলা মনে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। নিজস্ব চিত্র।