শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
২৯ এপ্রিল এই চা বাগানের বড়লাইনের শ্রমিকরা বিডিও’র কাছে দু’টি টিউবওয়েল মেরামতির দাবি জানান। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সেসব নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা বলছেন, ওই এলাকায় ছ’টি টিউবওয়েল রয়েছে। দুটি খারাপ হয়ে রয়েছে। বাকিগুলিতে আয়রন যুক্ত জল আসে। মাস সাতেক আগে পিএইচই পাইপ লাইন বসানো হলেও পরিষেবা চালু হয়নি। বিকল্প হিসেবে বাগানের জলের ট্যাঙ্কারই তাদের ভরসা। গ্রামের পাশে মানঝা ও চেঙ্গা নদী। তীব্র গরমে সেগুলিও শুকিয়ে গিয়েছে। বাবলু খেরোয়ার নামে এক স্থানীয় শ্রমিক বলেন, প্রায় মাসখানেক ধরে এলাকার দু’টি টিউবওয়েলে জল আসছে না। যে টুকু জল আসে, তাতেও কাদা। সকাল ৭টায় কাজে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে ট্যাঙ্কার থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করা নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। সাগর নাগাসিয়া নামে আরএক শ্রমিক বলেন, মাস সাতেক আগে পিএইচই পাইপলাইন বসিয়েছে। তবে সংযোগ দেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা জানকি রাওতিয়া বলেন, চা বাগানের সমস্যা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যাথা নেই। এদিকে অভিযোগের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ব্লক প্রশাসন উদ্যোগ না নেওয়ায় শ্রমিক নেতার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। তবে তাতেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
যদিও আইএনটিটিইউসির (সমতল) জেলা সভাপতি নির্জল দে বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ পেয়ে এনিয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। নকশালবাড়ি বিডিও প্রণব চট্টরাজ বলেন, অভিযোগ পেয়ে পিএইচই’কে জানিয়েছি। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে। একেই সুরে কথা বলেন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, অভিযোগ পেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সিকে সেখানে যেতে বলেছি। গরমে জলস্তর কমে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। ব্লকজুড়ে ৪৭টি জল প্রকল্পের কাজ চলছে।