শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিধাননগর পঞ্চায়েতের মাথাচুলকা গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে বাংলাদেশি যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতীকে বিয়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন যুবক। যুবতী রাজি হন। সেই মতো পাসপোর্ট, ভিসা নিয়ে বৈধভাবেই ভারতে আসে যুবক। গত সোমবার তারা মালাবাজারে দেখা করে। প্রেমিকের সঙ্গেই ঘর ছাড়েন যুবতী। বাড়ি থেকে পালাতেই যুবতীর পরিবার মাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। মঙ্গলবার তাদের দু’জনকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করে পুলিস। তাদের মাল থানায় আনা হয়। মেটেলি থানার পুলিস মালবাজারে এসে দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে মেটেলির উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু শহরের ক্যাল্টেক্স মোড়ে পুলিসের গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। যুবতীর বাড়ির লোক খবর পেয়ে সেখানে চলে আসেন এবং যুবককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিসের হাত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বাধা দিলে পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে যুবতীর পরিবার। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় ক্যাল্টেক্স মোড়ে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে। মালবাজার থানার আইসি সমীর তামাংয়ের নেতৃত্বে পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যুবতী এবং বাংলাদেশি যুবককে মালবাজার থানায় নিয়ে আসে পুলিস। পরে তাদের মেটেলি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, বাংলাদেশি যুবক তাদের মেয়েকে পাচারের ফন্দি এঁটেছিল। সেজন্য প্রেমের নামে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে চাইছিল। এর আগেও যুবকের একাধিক বিয়ে হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশি যুবক। দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। মেটেলি থানার আইসি মিংমা লেপচা বলেন, ওই যুবক ও যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।