শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কির নতুন সেতুতে রুটিন তল্লাশি চলাকালীন এক যুবককে সন্দেহবশত তল্লাশি চালায় এসএসবি। অভিযুক্তের হেফাজত থেকে হরিণের পাঁচটি শিং, সজারুর ৩০টি কাঁটা, হিমালয়ান গরালের দু’টি শিং, শিং সহ হরিণের তিনটি খুলি, একটি সাপের হাড় উদ্ধার হয়। পরে এসএসবি অভিযুক্তকে টুকরিয়াঝার রেঞ্জের হাতে তুলে দেয়। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, উদ্ধার দেহাংশ নেপালে পাচারের ছক ছিল ধৃতের। বন বিভাগের কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফও দেবেশ পান্ডে বলেন, পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কিতে এসএসবি’র অভিযানে হরিণের শিং সহ বিহারের এক ব্যক্তি আটক হয়েছিল। ওই ক্ষেত্রে বন বিভাগ তদন্তে জেনেছিল, ওই ব্যক্তি নিজেকে ওঝা বলে পরিচয় দেয়। নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশের সময় এসএসবি’র ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা স্ক্যানিং মেশিনে ধৃতের ব্যাগে একটি হরিণের সিং পায়। তাকেও টুকরিয়াঝার রেঞ্জের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে ওই ব্যক্তির কোনও নথিপত্র না পাওয়ায় তাকে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের নিজেকে ওঝা বলে দাবি করা ডম্বর নামে ওই যুবকের হেফাজত থেকে মিলল বিপুল পরিমাণে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ।
ডম্বরের পরনে ছিল জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট। তার লম্বা চুল, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, আঙুলে একাধিক আঙ্কটি। কথায় বারংবার সে নিজেকে ওঝা বলে দাবি করে। তার হেফাজতে পাওয়া বন্যপ্রাণীর দেহাংশ সে ঝাড়ফুঁকের কাজে ব্যবহার করে বলে জানায়। তা সত্যি কি না যাচাই করা হচ্ছে। ধৃতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রের যোগ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও উদ্ধার বন্যপ্রাণীর দেহাংশ আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া মূল্য বিক্রি হয় বলে দাবি বনদপ্তরের এক আধিকারিকের।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত যুবক বনদপ্তরকে জানায়, মাস খানেক আগে নেপাল থেকে বনপ্রাণীর দেহাংশ চোরাপথে ভারতে নিয়ে আসে। এরপর সিকিমের এক রোগীর ঝাড়ফুঁক করতে যায়। এদিনই সিকিম থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে নেপালের কাঁকড়ভিটায় ফেরে। উল্লেখ্য, বছর দু’য়েক আগে খড়িবাড়ি বাজারে একটি চায়ের দোকানে হরিণের শিং হাতবদলের আগে বিহারের এক যুবককে ধরেছিল এসএসবি। ওই ঘটনায় উদ্ধার হরিণের শিংটি মালবাজার থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যা দু’লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছিল।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সন্দীপ সরকার বলেন, হরিণের শিং মূলত বাড়িতে সাজানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে কালো বাজারে সেটির সঠিক কি মূল্য তা জানা নেই। মনে হচ্ছে, হরিণ মেরে খুলি ও শিং নিয়ে এসেছিল। আর প্রাণীটির মাংস পাচার করা হতে পারে। যা বন্য আইন অনুযায়ী অপরাধ। এ নিয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। নিজস্ব চিত্র