ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
গঙ্গা নদীর মাঝে চর। সেখানে গোপালপুর, রহিমপুর ও কেবিঝাওবনা মৌজার অধীনে বহু আবাদি জমি। মানিকচকের গোপালপুর থেকে নৌকো করে সেখানে যেতে হয়। সেই চরে বহু কৃষক চাষাবাদ করেন। প্রতিদিন ১৫টি নৌকোয় যাতায়াত করেন এলাকার চাষিরা। সেখানে প্রায় দু’হাজার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন গোপালপুরের বাসিন্দারা। কেউ নিজের জমিতে। কেউ আবার ভাগচাষি হিসেবে ভুট্টা চাষ করেছেন।
বিগত কয়েক মাসের কঠোর পরিশ্রমে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছিল জমিতে। আশায় বুক বেঁধেছিলেন চাষিরা। কিন্তু বুধবার হঠাৎ জমিতে আগুন লেগে যাওয়াই সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। আগুন লাগার খবর পেয়ে চরে ছুটে যান কৃষকরা। আগুন নেভাতে হাত লাগান চাষিরা।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে থাকা পার্শ্ববর্তী জমির চাষিদের প্রচেষ্টায় কিছুটা হলেও জমির ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে কীভাবে এই আগুন লাগল তা বলতে পারেননি কেউ।
চাষি অনিমা মণ্ডল বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় জমিতেই ছিলাম। হঠাৎ জমির একপাশে আগুন দেখতে পেয়ে তা নেভানোর চেষ্টা করি।
ভুট্টাখেত আগুনে পুড়ে গিয়ে দিশাহারা অনিমা। বলেন, এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ২২ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। আগুনে সব শেষ হয়ে গেল। এখন কীভাবে ঋণ শোধ করব, জানি না। আর এক চাষি সৌরভ মণ্ডল বলেন, কুড়ি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতাম। কিন্তু সমস্তটাই আগুনে পুড়ে গেল। বৃহস্পতিবার সেই ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেন জেলা উপকৃষি অধিকর্তা দিবানাথ মজুমদার, জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা মনোহর সর্দার, মানিকচক ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা বারীন্দ্র তালুকদার প্রমুখ।
তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শনের পাশাপাশি চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে এদিন নথিপত্র নেওয়া হয়। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে ৯০ শতাংশই ভাগচাষি। ১০ শতাংশ নিজের জমিতে চাষ করেছেন। বাংলার শস্য বীমা যোজনার অর্ন্তভুক্ত চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
নিজস্ব চিত্র।