ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরের পুরাতন পুলিস লাইনের বাসিন্দা সমৃদ্ধ রায়। সে ভবিষ্যতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায়। বাবা শুভ্রজিৎ রায় ও মা নমিতা রায় বলেন, ছেলের ফলাফলে আমরা খুব খুশি। ওর পড়াশোনার কোনও নির্দিষ্ট সময় ছিল না। ওর যখন মনে হতো পড়ত। সমৃদ্ধ বলে, আমি ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। তার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মেধাতালিকায় নাম থাকলে আরও ভালো লাগত। জলপাইগুড়ি জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বাড়ুই বলেন, সমৃদ্ধ স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমাদের স্কুল থেকে ১১৫ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে ১০৯ জন পাশ করেছে। স্কুল থেকে আরও দু’জন ছাত্র অর্য দাস ও কৌলস্থ চক্রবর্তী ৬৬৯ নম্বর পেয়েছে। স্কুল থেকে ৬৫০ নম্বরের বেশি পেয়েছে ১০ জন। ৬০০ নম্বরের বেশি ১৬ জন।
অন্যদিকে, শহর লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝার এলাকার বাসিন্দা তথা জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলের ছাত্রী স্নেহা মণ্ডল জেলায় মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে। তাঁরও স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। স্নেহা বলে, ইংরেজি ও ভৌতবিজ্ঞান বাদে সব বিষয় বাড়িতে বাবা ও কাকার কাছেই পড়তাম। ইংরেজিতে নম্বর একটু কম না পেলে হয়ত আরও ভালো নম্বর উঠত। মেধাতালিকাতেও থাকা সম্ভব হতো। জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা দে ভট্টাচার্য বলেন, স্কুলে ৭৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে ৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুল থেকে ৬০০ বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করেছে ছ’জন। সকলের জন্যই আমরা গর্বিত। ওরা ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করুক। এটাই আমাদের প্রার্থনা।