আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
গরম নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিমের ছড়াছড়ি। অনেকেই বলছেন, রাত শেষের পরই দুপুরের রোদ নেমে আসছে। বাঁকুড়ায় সকাল ৮টা থেকেই কড়া রোদ মাথার উপর থাকছে। অনেকের বাড়িতে ট্যাঙ্কের জল ওই সময়ই গরম হয়ে ছেঁকা দেওয়ার মতো অবস্থায় চলে যাচ্ছে। বাঁকুড়ায় দাবদাহের জেরে রাস্তাঘাটও আগের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি শুনশান হয়ে যাচ্ছে। দিনেরবেলায় বিশেষ কাজ ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। পথচারীদের মুখ ঢেকে চলাচল করতে দেখা গিয়েছে। চোখে সানগ্লাসও পরছেন অনেকে। এছাড়া, লস্যি, ঠান্ডা পানীয় খেতে দোকানে দোকানে ভিড় জমাছেন ক্রেতারা। অনেকে জানিয়েছেন, সারাদিনে অন্তত দু’বার করে স্নান করতে হচ্ছে।
এর মধ্যেই আবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জলকষ্ট শুরু হয়েছে। সমস্যা মেটাতে মুকুটমণিপুর ড্যামে অতিরিক্ত পাম্প বসিয়েছে পিএইচই। তারসঙ্গে কয়েকশো ট্যাঙ্কার জেলাজুড়ে পানীয় জল সরবরাহ করেছে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন।
বাঁকুড়া শহর সহ গ্রামাঞ্চলে অনেকে উদ্যোগ নিয়ে জলসত্র খুলেছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে জল পান করতে অনেকে ভিড় করছেন। সকাল থেকে গরম হাওয়া বা লু’তেও জেলাবাসী কাবু হয়েছেন। বাসিন্দাদের দাবি, বিকেলের পর রোদ না থাকলেও গরম হাওয়া অব্যাহত থাকছে। ফলে সেই সময়ও অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর একটু স্বস্তির জন্য ফাঁকা জায়গায় অনেকে আড্ডা দিতে যাচ্ছেন। কিন্তু গরমের হাত থেকে রেহাই মিলছে না। আরও গরম পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। বাঁকুড়ার এক ব্যবসায়ী মিলন শীট বলেন, দোকানে বিক্রিবাটা আগের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। দিনেরবেলায় ক্রেতার দেখাই মিলছে না। বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের লোকপুর রেঞ্জের উদ্যোগে বাঁকুড়ার কোর্ট চত্বরে পাখিদের জন্য জলের পাত্র বসানো হয়েছে।
পুরুলিয়াতেও এদিন সকাল ৮টার পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। দুপুর শুরু হতে না হতেই পুরুলিয়া শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে লু বইতে থাকে। নাজেহাল হন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শরীরের খোলা অংশে রোদ পড়তেই যেন গায়ে গরম ছ্যাঁকা লাগছিল। অনেকেই বিশেষ কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হননি।