কাজল মণ্ডল, ইসলামপুর: রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ভোটদানের হার কম। আর এতেই উদ্বেগ বাড়ছে কংগ্রেসের। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী আলি ইমরান রমজের (ভিক্টর) খাসতালুক বলে পরিচিত চাকুলিয়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ভিক্টরও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সেকারণে রাজনৈতিক মহলে চর্চা ছিল, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়ায় সংখ্যালঘুদের একাংশ ভিক্টরকে ভোট দেবেন। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী ইসলামপুর মহকুমার ওই তিন বিধানসভা থেকে ব্যাপক লিড নেবেন। কিন্তু এবার ভোটদানের হার কম হওয়ায় চিন্তায় কংগ্রেস। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ভিক্টরও। তাঁর কথায়, ওই তিন বিধানসভা এলাকার বহু যুবক ভিনরাজ্যে কাজ করেন। সেকারণে ভোটদানের হার কম হয়েছে। এটা ঠিক যে, সংখ্যালঘু ভোট কম হওয়া মানে আমাদের পক্ষে ক্ষতি। ইসলামপুরে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪১৭ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৩ শতাংশ। গোয়ালপোখরে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৮৪ জনের মধ্যে ৬৯ শতাংশ ও চাকুলিয়ায় ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৭ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭১ শতাংশ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য ইসলামপুরে ৭৬ শতাংশ, গোয়ালপোখরে ৭১ শতাংশ এবং চাকুলিয়ায় ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
অন্যদিকে, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলিতে ভোটের হার ভালো হলেও গত নির্বাচনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। করণদিঘিতে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫২২ ভোটারের মধ্যে ৭৬ শতাংশ, হেমতাবাদে ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৪৮ ভোটারের ৮১ শতাংশ ও কালিয়াগঞ্জে ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৭৭ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮১ শতাংশ। রায়গঞ্জে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৬ হাজার ৭৮০ জন, ভোট পড়েছে ৭৭ শতাংশ। রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে মোট ভোট পড়েছে ৭৬ শতাংশ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে বহু মানুষ ভিনরাজ্যে কাজে যান। সেকারণে হয়তো এবার ভোটের হার কম। তবে এতে কোনও দলের লাভ বা ক্ষতি হবে না। যে যত ভোট পাওয়ার তা পাবে। বিজেপি নেতা সুরজিৎ সেনের বক্তব্য, সংখ্যালঘু এলাকায় ভোটদান কম হওয়ায় আমাদের জয়ের পথ সহজ হবে।