আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ সাহা বলেন, দিনে বহুবার রেলগেট বন্ধ থাকে। এতে যাত্রীবাহী বহু গাড়ি কামাখ্যাগুড়িতে ঢোকে না। ফলে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি হচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে রেলের উড়ালপুল তৈরির দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই পাইনি। নতুন সাংসদ এ বিষয়ে বিশেষভাবে উদ্যোগ নেবেন বলে আমরা আশাবাদী। কামাখ্যাগুড়ি হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মানিকচন্দ্র সাহা বলেন, এখানে উড়ালপুল নির্মাণ করা খুবই জরুরি। এটি এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের দাবি।
কামাখ্যাগুড়িতে রেলের উড়ালপুল তৈরি না হওয়া নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরকে দোষারোপ করছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার জন্যই এখানে উড়ালপুল তৈরি হয়নি। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায় উড়ালপুল তৈরি করা যাচ্ছে না।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সহ সভাপতি জয়ন্তকুমার কার্জি বলেন, বিজেপির বিদায়ী সাংসদ উন্নয়নের কোনও কাজই করেননি। তার অন্যতম নমুনা হল কামাখ্যাগুড়িতে রেলের উড়ালপুল তৈরি না হওয়া। একসময় পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যৌথ সমীক্ষার জন্য। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ সেই চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বিজেপি ভোট এলেই কামাখ্যাগুড়িতে উড়ালপুল তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট পেরিয়ে গেলে সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়। আমাদের প্রার্থী মানুষের আশীর্বাদে জয়ী হয়ে কামাখ্যাগুড়িতে রেলের উড়ালপুল নির্মাণে উদ্যোগী হবেন।
বিজেপির জেলা সম্পাদক সুনীল মাহাত বলেন, আমরা সবসময় চাই, কামাখ্যাগুড়িতে রেলের উড়ালপুল তৈরি হোক। এজন্য আমাদের সাংসদ-বিধায়করা রেলমন্ত্রীর কাছেও গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার কামাখ্যাগুড়িতে রেলের উড়ালপুল তৈরির জন্য রাজি। কিন্তু এ বিষয়ে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না। রাজ্য সরকার ডিপিআর তৈরি করে পাঠালে কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে। কিন্তু রাজ্য এই কাজটুকু করছে না।