রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জেলার দৌলতপুরের এক ভক্ত শম্পা সূত্রধর বলেন, প্রতিবছর আমাদের রঘুনাথ মন্দিরে মানত থাকে। তাই এই সময় যেখানেই থাকি, আমরা ঠিক মেলায় চলে আসি।
বালুরঘাট শহরে ঢোকার মুখে রয়েছে রঘুনাথ জিউয়ের মন্দির। সেখানে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের পুজো দেওয়া হয়। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ মেলায় এসে মানত করেন। এই পুজোর অন্যতম ভোগ ডাব। কথিত রয়েছে, আত্রেয়ীর তীরে এই রঘুনাথ মন্দিরের নাম অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে রঘুনাথপুর। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে মানত করলে বাসনা পূর্ণ হয়। ভগবানের নামে বহু সোনার অলঙ্কার থেকে শুরু করে নানা মানত করা সামগ্রী ভক্তরা তুলে দেন। মঙ্গলবার রাতে পুজো হয়। বুধবার ভোর থেকেই নেমেছে ভক্তদের ঢল।
মেলা কমিটির সম্পাদক ভোলানাথ সিং বলেন, প্রাচীন পুজো উপলক্ষে এবারও মেলা বসেছে। সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মেলার পর্যবেক্ষক কমিটির সদস্য মানস সেনের মন্তব্য, প্রতিবছর জেলা ও জেলার বাইরে থেকে ভক্তদের সমাগম হয়। এমনকী বাংলাদেশ থেকেও বহু ভক্ত এই মেলায় আসেন। রঘুনাথ মন্দিরে ঢুকে পুজো দিতে যাতে সমস্যা না হয়, সেই বিষয়গুলি আমরা দেখছি।
কথিত আছে এই মেলার নাম ছিল ‘মান্দার মেলা’। পরবর্তীতে নাম হয় রঘুনাথ মেলা। এই মন্দিরের নাম অনুসারেই এই অঞ্চল হয়েছে রঘুনাথপুর। রামনবমী তিথিতে এই পুজো হয়ে থাকে। এবার আত্রেয়ীতে ড্যাম থাকায় স্নানের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এছাড়াও পর্যাপ্ত পুলিস ও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল।
কুমারগঞ্জের এক ভক্ত সুমিত ঘোষ বলেন, প্রতিবার ভোরে আমরা এই মেলায় আসি। রঘুনাথ ঠাকুরের কাছে আমরা ডাব উৎসর্গ করি।