বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ফুড সেফ্টি বিভাগের জেলা আধিকারিক প্রশান্ত বৈদিক বলেন, বিনা লাইসেন্সে ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের শংসাপত্র ছাড়াই কারখানা থেকে ২০ লিটারের জার ভর্তি পানীয় জল বিক্রি করা হচ্ছিল। ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা না করে জারে জল ভর্তি করে মুখ সিল করে দেওয়া হচ্ছিল। ওই জল খেলে মানুষ অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে বেআইনি জলের কারখানার বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চালিয়েছি। নির্দেশিকা না মানলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। এদিন ১১টি কারখানা আমরা সিল করেছি। এর আগে নোটিস দিয়ে ওই কারখানাগুলিকে বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মালিকরা সেই নির্দেশ পালন করেননি। উল্টে লাগাতার জারে জল ভর্তি করে বিক্রি করা হচ্ছিল। এদিন জেলাশাসকের নির্দেশে আমরা অভিযান চালিয়েছি। প্রসঙ্গত, মালদহ জেলার একাধিক ব্লক আর্সেনিক কবলিত। আর্সেনিকযুক্ত জল পান করে অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হন। এখনও জেলার প্রতিটি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবারহ করা সম্ভব হয়নি। বেশিরভাগ জায়গায় সাধারণ নলকূপের জল পানের অযোগ্য। লোহা সহ অন্যান্য খনিজ মিশে থাকায় নলকূপের জল লাল রঙের হয়। ওই জল দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। ফলে তা কার্যত খাওয়া যায় না। অনেকে অবশ্য বাধ্য হয়ে ওই জল খেয়ে থাকেন। বেশকিছু জায়গায় নলকূপ থেকে কর্দমাক্ত জল বের হয়। তা পানের অযোগ্য। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই জার ভর্তি ‘প্যাকেজ ড্রিঙ্কিং ওয়াটার’ কিনে থাকেন। ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহর এবং আশাপাশের এলাকায় জারের জল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। জার পিছু ৩৫-৪০ টাকা দাম পড়ে। এক সঙ্গে তিনটি জল ভর্তি জার ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইংলিশবাজারের এক জল বিক্রেতা বলেন, আমরা খালি জার বেআইনি জল কারবারিদের দিই। পিকআপ ভ্যান বা অন্যান্য যানবাহনে চাপিয়ে তা কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গভীর নলকূপের জল তোলার পর জারে ভর্তি করা হয়। পরে তা সিল করা হয়। জারপিছু ১০-১২ টাকায় তা বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীদের হাতঘুরে তা আমাদের কাছে আসে। তাতে আমাদের লাভ বেশি থাকে। অথচ সরকার অনুমোদিত ব্যসায়ীর কাছ থেকে এক জার জল কিনতে অনেক বেশি খরচ পড়ে। ফলে আমরা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য সরাসরি গভীর নলকূপের জল বিক্রি করি। পুরাতন মালদহ এবং ইংলিশবাজার ব্লক এলাকার কয়েকটি আমবাগানে বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপ বা সাব মার্সিবল রয়েছে। সেখানে জারে জল ভরা এবং সিল করা হয়। নিজস্ব চিত্র