বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিশিগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে বছর তিনেক আগে গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নীত করার পর নতুন ভবনের কাজ চলছে। একইসঙ্গে কোচবিহার জেলা পরিষদের টাকায় দেওয়া হচ্ছিল সীমানা পাঁচিল। জমি সমস্যার কারণে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার ওই পাঁচিল তোলার কাজ আটকে দেয়। ফলে তা কয়েকমাস ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে ছ’কোটি টাকা খরচে নিশিগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরির কাজ চলছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, নতুন ভবনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। হাসপাতালের নিরাপত্তার খাতিরে চারপাশে পাঁচিল দিতে জেলা পরিষদ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই টাকায় কাজ শুরু হলেও তা এখন থমকে আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিশিগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইন্ডোর পরিষেবা চালুর সময় স্থানীয় কয়েকটি পরিবার হাসপাতালের জন্য জমি দান করেছিল। ওই জমিরই একাংশ এখনও কয়েকটি পরিবার দখল করে রয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সীমানা পাঁচিল তোলার সময় বাসিন্দারা ওই জমি তাঁদের বলে দাবি করেন। এরপর দফায় দফায় জমি জরিপ করা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়েও সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। ফলে ওই অংশে পাঁচিল তোলার কাজ এখন আটকে আছে। রোগী ও তাঁদের পরিজনরা বলেন, রোগীকে ভর্তি রেখে এখনে চিকিৎসা চলে। সীমানা পাঁচিল না থাকলে যেকোনও সময় বহিরাগতরা হাসপাতালে ঢুকে পড়তে পারে। এতে রোগী সহ চিকিৎসক, নার্সদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। ফলে অবিলম্বে সীমানা পাঁচিল দেওয়ার কাজ কর্তৃপক্ষের শেষ করা উচিত।
কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন বলেন, নিশিগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারপাশে পাঁচিল দেওয়ার জন্য আমরা অর্থ বরাদ্দ করেছিলাম। কিন্তু, জমি সংক্রান্ত সমস্যা চলায় তা আটকে রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলে এসেছি। সমস্যাটি দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে। যদিও কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, নিশিগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের ভবনের কাজ দুর্গাপুজোর আগেই শেষ করা হবে। এ জন্য যা করার করা হবে।